Story Behind why Manna Dey always had Kashmiri Cap: বাংলার তো বটেই, ভারতীয় সঙ্গীত জগতের এক কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব হলেন মান্না দে (Manna Dey)। এই বঙ্গ তনয় ছিলেন বিরল প্রতিভার অধিকারী। সঙ্গীত জগত আজ অবধি দ্বিতীয় মান্না দে পায়নি। পঞ্চাশ-ষাটের দশকে ভারতীয় সঙ্গীত দুনিয়ায় রাজত্ব করেছেন এই বাঙালি গায়ক (Bengali Singer)। দীর্ঘ সাত দশকের কেরিয়ারে শ্রোতাদের একাধিক আইকনিক গান উপহার দিয়েছেন তিনি। যা আজও ক্ল্যাসিক হয়ে রয়ে গিয়েছে।
মান্না দে-র নাম শুনলেই আজও সঙ্গীতপ্রেমী সকল মানুষের শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে। অনুরাগীরা তো বটেই, একাধিক জনপ্রিয় গায়ক-গায়িকাও ছিলেন তাঁর গানের অন্ধভক্ত। নতুন প্রেমে পড়া থেকে শুরু করে প্রেম ভাঙা- সব ধরণের পরিস্থিতির জন্যই কোনও না কোনও গান গেয়েছেন মান্না দে। ‘কফি হাউসের সেই আড্ডা’ থেকে শুরু করে ‘আমি যামিনী তুমি শশী হে’ হয়ে ‘প্যায়ার হুয়া ইকরার হুয়া হ্যায়’- কিংবদন্তি এই গায়কের ঝুলিতে রয়েছে একাধিক আইকনিক গান।
তবে গান ছাড়াও মান্না দে-র নাম শুনলেই সকলের আরও একটি জিনিসের কথা মনে পড়ে। সেটা হল গায়কের ট্রেডমার্ক কাশ্মীরি টুপি (Kashmiri Cap)। গান গাওয়ার সময় তাঁর মাথায় দেখা যেত এই টুপি। গ্রীষ্ম হোক শীত হোক বা বর্ষা- সব সময় কাশ্মীরি টুপি পরে থাকতেন তিনি। একটা সময় এটাই হয়ে গিয়েছিল ‘মান্না দে স্টাইল’। তবে গায়কের এই স্টাইলের পিছনের অজানা কাহিনীটা (Unknown Story) কি আপনি জানেন?
চোখে চশমা, মাথায় কাশ্মীরি টুপি, একমনে গান গাইছেন মান্না দে। অনেক সঙ্গীতপ্রেমীর মনে আজও গায়কের এই ছবিটা জ্বলজ্বল করছেন। তবে জানলে হয়তো আপনি অবাক হবেন, এই কাশ্মীরি টুপি কিন্তু প্রথম থেকে মান্না দে-র স্টাইলের অংশ ছিল না। এর পিছনে রয়েছে একটি দুর্দান্ত কাহিনী।
একবার ডিসেম্বর মাসে কাশ্মীরে একটি সঙ্গীতানুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মান্না দে। সেখানে সেই সময় তুষারপাত হচ্ছিল। মঞ্চে উঠে গায়ক গান কী গাইবেন, তিনি তখন কেঁপেই যাচ্ছেন। নিজের আত্মজীবনীতে মান্না দে লিখেছেন, ‘মঞ্চে ঠাণ্ডায় কাঁপতে কাঁপতে আমি ভাবছিলাম গান কীভাবে গাইব। একটা গান শুরু করতেই আমি উপলব্ধি করেছিলাম ঠাণ্ডায় আমি এতটাই কাবু হয়ে পড়েছি যে ঠিকভাবে সুরও লাগাতে পারছি না’।
আরও পড়ুনঃ নতুন ‘মহানায়ক’ পেল বাংলা! শুভশ্রী-সায়ন্তিকা সহ এই তারকাদের সম্মানিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী
মান্না দে-র এই অবস্থা দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাঁর এক অনুরাগী। একটি কাশ্মীরি টুপি এগিয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, এটা পরে নিলে তিনি আরাম পাবেন। গায়ক আত্মজীবনীতে লেখেন, সেই টুপি পরে তিনি সত্যিই আরাম পেয়েছিলেন। সেই সঙ্গেই নিজের আত্মবিশ্বাসও ফিরে পেয়েছিলেন। এরপর নিজের সঙ্গীতের মাধ্যমে মোহিত করে দেন শ্রোতাদের। এই ঘটনার পর থেকে সেই কাশ্মীরি টুপি কখনও নিজের কাছছাড়া করেননি মান্না দে। অনুরাগীর উপহার শুধু যত্নে রেখে দেওয়াই নয়, এরপর থেকে তিনি যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই তাঁর মাথায় দেখা গিয়েছে এই টুপি। এরপর এই কাশ্মীরি টুপিই হয়ে গিয়েছিল মান্না দে-র ট্রেডমার্ক স্টাইল।