দীর্ঘদিন ধরে সুখে সংসার করছেন খেয়ালী দস্তিদার (Kheyali Dastidar) এবং অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় (Arindam Ganguly)। অরিন্দমকে বিয়ের আগেও অবশ্য একবার সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে সেই বিয়ে টেকেনি। পুত্র সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম বিয়ে থেকে বেরিয়ে আসেন খেয়ালী। এরপর অরিন্দমের হাত ধরে নতুন জীবন শুরু করেন।
প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর অরিন্দমের হাত ধরে খেয়ালীর জীবনে ফের অনুরাগের ছোঁয়া লেগেছিল। অভিনেত্রীর সঙ্গে মেলামেশার পর অরিন্দম সিদ্ধান্ত নেন, তাঁকে বিয়ে করবেন! এদিকে খেয়ালীর কথায়, অরিন্দম একেবারে ‘মাম্মাজ বয়’। কখনও মায়ের বিরোধিতা করেননি। শুধুমাত্র খেয়ালীকে মায়ের মতের অমতে বিয়ে করেছিলেন।
আসলে অরিন্দমের জীবনে তাঁর মায়ের মায়ের অবদান প্রচুর। একটা সময় জননীকে ছাড়া আর কিছুই চিনতেন না অভিনেতা। সেই অরিন্দম মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে এক সন্তানের মা খেয়ালীকে বিয়ে করে বাড়ি আনেন। মায়ের সঙ্গে তুমুল অশান্তি হলেও অভিনেত্রীর হাত ছাড়েননি তিনি। পরবর্তীকালে লকডাউনের সময় অবশ্য মা এবং স্ত্রী দু’জনকেই একসঙ্গে এক ছাদের তলায় পেয়েছিলেন অরিন্দম।
আরও পড়ুনঃ এক-দুই নয়! কাঞ্চন থেকে শ্রাবন্তী, তিনবার সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন টলিপাড়ার এই তারকারা
সম্প্রতি জনপ্রিয় এক ইউটিউব চ্যানেলের কাছে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় অরিন্দম-খেয়ালী নিজেদের বিয়ের সময়ের বেশ কিছু অজানা কথা শেয়ার করে নেন। খেয়ালী-পুত্র আদিত্যর (Aditya Sengupta) সম্বন্ধে অভিনেতা বলেন, ‘আমি আদিত্যকে দত্তক নিইনি ঠিকই, তবে সব সরকারি নতিতে বাবার জায়গায় আমার নামটাই কিছু দেওয়া রয়েছে’।
এক সন্তানের জননী হয়ে দ্বিতীয়বার বিয়ে করা নিয়ে খেয়ালীর মনেও আশঙ্কা কাজ করছিল। ছেলেকে শুনতে হবে ‘তোর মায়ের তো দু’টো বিয়ে!’ আদিত্য যাতে বিষয়টা সহজে গ্রহণ করতে পারে, তার শিক্ষা অবশ্য তাঁকে তাঁর মা-ই দিয়েছিলেন। খেয়ালী বলেছিলেন, ‘কেউ যদি তোমায় এমন কথা বলে, তুমি স্বীকার করে নেবে। বলবে হ্যাঁ, আমার মায়ের দু’টো বিয়ে। আমার মা ফের বিয়ে করেছেন। অরিন্দম আমার সৎ বাবা’।
আরও পড়ুনঃ ‘আবার বিয়ে করেছে?’ কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ের খবর পেতেই বিস্ফোরক প্রথম স্ত্রী অনিন্দিতা
আদিত্য বিষয়টাকে সহজভাবে গ্রহণ করলেও অরিন্দম-খেয়ালীর বিয়ের দিন একটা ঘটনা ঘটেছিল। বিয়ের অনুষ্ঠানের আগে ড্রাইভারের সঙ্গে পুত্রকে দূরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার কেমন একটা লাগছিল। ছেলে বসে বসে নিজের মায়ের বিয়ে দেখবে, কেমন একটা যেন অস্বস্তি হচ্ছিল। সেই জন্য ওকে ড্রাইভারের সঙ্গে আমি পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর ফিরে এসেছিল পুত্র’। যে কারণে মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের সাক্ষী থাকতে পারেননি আদিত্য। পরবর্তীকালে খেয়ালী-অরিন্দমের কাছে আদিত্য অভিমানের সুরে বলেছিলেন, ছল করে তাঁকে বিয়ের দিন দূরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল!