• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

ক্লাস না করিয়ে ‘রিলস’ বানাচ্ছে দিদিমণি! লাইক শেয়ার না করলেই শাস্তি, ঘটনা শুনেই অবাক নেটপাড়া

তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, ইনস্টাগ্রাম রিল (Instagram Reels) বানাতে দেখা যায় অনেককে। রাস্তাঘাটে, ট্রেনে-বাসে ভিডিও বানাতে গিয়ে ভাইরালও হন বহু মানুষ। তবে সম্প্রতি যে ঘটনা যে সামনে এসেছে তা শুনে অবাক হয়ে গিয়েছেন প্রত্যেকে। কারণ এবার স্কুলে (School) পড়াশোনা বন্ধ করে রিল ভিডিও বানানো শুরু করেছেন কিছু শিক্ষিকা (Teacher)!

বই, খাতা নিয়ে রোজ স্কুলে যায় খুদেরা। কিন্তু বিদ্যালয়ে পড়াশোনা হয় না। কে পড়াবেন! যাদের কাঁধে সেই দায়িত্ব রয়েছে তাঁরা তো ফোন নিয়ে ‘রিলস’ (Reels) বানাতে ব্যস্ত। শুধু তাই নয়, পড়ুয়াদের নিয়মিত সেসব ভিডিওয় লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ারও করতে হয়। পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে দিদিমণিদের চ্যানেলও সাবস্ক্রাইব করতে হয় তাদের।

   

School teacher make Instagram reels in UP

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের অমরোহার একটি সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। পড়ুয়াদের দাবি, তাদের স্কুলে রোজ ‘রিলস’ (Reel Video) বানানো হয়। কোনও কোনও শিক্ষিকাকে সেই ভিডিওয় দেখা যায়, কেউ কেউ আবার সেসব ভিডিও রেকর্ড করেন। এমনই একটি ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের নাম হল ‘রবিপূজা’।

আরও পড়ুনঃ সিনেমা সিরিয়াল অতীত, এবার নতুন রূপে ওয়েব দুনিয়ায় আসছেন ‘কলকাতার রসগোল্লা’ দেবশ্রী!

সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিভাবকদের কথায়, ইচ্ছা না থাকলেও শিক্ষিকাদের রিল ভিডিওয় তাঁদের নিয়মিত লাইক করতে হয়। রোজ রোজ লাইক, শেয়ার এবং সাবস্ক্রাইব করতে করতে তাঁরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। শেষমেষ বাধ্য হয়ে সকল অভিভাবকেরা মিলে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন। সম্পূর্ণ ঘটনা জানিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্লক এডুকেশন আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

আরও পড়ুনঃ বাবা-মাকেও ছাড়ে না, ভিডিও ভাইরাল হতেই ফাঁস হল স্মার্ট নন্দিনী দিদির আসল চেহারা!

School teacher make Instagram reels in UP

সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের এক ছাত্র এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘স্কুলে এসে দিদিমণি রিল ভিডিও বানান। আমাদের দিয়ে সেই ভিডিও লাইক করান। না করলে মারবেন বলে হুমকি দেওয়া হয়’। অন্য একজন পড়ুয়া আবার দাবি করেন, স্কুলে তাদের দিয়ে বাসন মাজা, চা বানানোর মতো কাজও করান শিক্ষিকারা।

যদিও পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকদের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা। তাঁদের কথায়, পড়ুয়াদের ভালো শিক্ষা দেওয়ার বিষয়ে তাঁরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এক অভিযুক্ত শিক্ষিকা আবার বলেন, স্কুলের সময়ে তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের মন দিয়ে পড়ান। তবে মাঝেমধ্যে স্কুলে ভিডিও বানান তাঁরা। কিন্তু সেটাও ছাত্রছাত্রীদের শেখানোর জন্যই করা হয়।