টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেক অভিনেতা আছেন যারা পার্শ্বচরিত্রে (Side Characters) অভিনয় করেই অগাধ সাফল্য পেয়েছেন। এমনই একজন শিল্পী হলেন শুভাশিস মুখোপাধ্যায় (Subhasish Mukhopadhyay)। কমেডি হোক বা ট্র্যাজেডি- সব ধরণের চরিত্রে তিনি তুখোড়। শুভাশিস যেমন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারেন, তেমনই তাঁর অভিনয় দেখে চোখ বেয়ে নেমে আসে জলের ধারা।
গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত শুভাশিস। তিনি যেমন এখনকার পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করছেন, তেমনই ৪০-৪৫ বছর আগের পরিচালকদের সঙ্গেও কাজ করেছেন। এখন যেমন প্রচুর অভিনেতা দেখছেন, সেই সময়ও প্রচুর অভিনেতা দেখেছেন। এই দুই সময়ের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে মৌলিক কি পার্থক্য দেখতে পান তিনি?
সম্প্রতি এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে এই প্রশ্ন করা হয় শুভাশিসকে। জবাবে অভিনেতা সাফ বলেন, ‘আমি নিষ্ঠার অভাব দেখতে পাই। এই প্রজন্ম সবসময় মোবাইলে থাকে। আমার খুব অপছন্দ। জুনিয়রদের দেখাদেখি সিনিয়র অভিনেতারাও এখন ফ্লোরের মধ্যে মোবাইল দেখে। কেন? জীবনে দেখেছিস তোরা? যখন কেরিয়ার শুরু করেছিলি মোবাইল নিয়ে ঘুরে বেড়াতিস ফ্লোরের মধ্যে? না তো, হাতে স্ক্রিপ্ট নিয়ে ঘুরতিস’।
আরও পড়ুনঃ অবাঙালি হলেও দুর্দান্ত অভিনয়ের দৌলতে জিতেছেন দর্শক মন, রইল টেলি পাড়ার এমনই ৭ তারকাদের তালিকা
এখানেই থামেননি শুভাশিস। তিনি আরও বলেন, ‘আজ বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো মোবাইল নিয়ে ঘুরছে বলে তোকে ওদের সমান জায়গায় আসতে হবে? তাই জন্য আমিও মোবাইল নিয়ে ঘুরে বেড়াবো? আমি তোমার মতো পারি এটা দেখানোর জন্য?’
শুভাশিস বলেন, ‘টেক স্যাভি’ হওয়া খুব ভালো জিনিস। তবে দেখানোর জন্য কোনও কিছু করাটা ঠিক নয়। অভিনেতার কথায়, ‘এই দেখানোপনাটা কেন? আমি অনেককে দেখেছি ধূমপান করতে। জীবনে সেই সিনিয়র আর্টিস্টদের ধূমপান করতে দেখিনি। তিনি হঠাৎ ফ্লোরের মধ্যে ধূমপান করছেন। হঠাৎ তাঁর ফ্যাশান হয়ে গেল। কেন? না, ওই ছেলেমেয়েগুলো খায়’।
আরও পড়ুনঃ দীপার জীবনে দ্বিতীয় পুরুষ, ফিরিয়েছে সোনা-রূপা! দুর্ঘটনার কবলে সূর্য, ফাঁস আজকের তুলকালাম পর্ব
এরপর আক্ষেপের সুরে শুভাশিস বলেন, ‘আমার খারাপ লাগে। কারণ ওদের আমি এভাবে দেখিনি। আমারও তো এতগুলো বছর হল। এই মানুষগুলোকে তো আমি আগেও দেখেছি, তখন এগুলো দেখিনি। হঠাৎ আজ এই পরিবর্তনগুলো কেন’?
সবশেষে শুভাশিস বলেন, অনেক সিনিয়র অভিনেতা এখন ভাবেন জুনিয়রদের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারলে হয়তো আমি হারিয়ে যাব। তবে আসলে এমনটা নয়। কাজের প্রতি নিষ্ঠা এবং আস্থা থাকলে কোনোদিন সেই শিল্পী হারাবে না। এর জন্য কারোর সমান হতে হবে না।