বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নন্দিনী দিদির ভাতের হোটেল। কিছুদিন আগেই এই খবরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আসলে সম্প্রতি কাঁচুমাঁচু মুখ করে এক ইউটিউবারকে মনের দুঃখের কথা জানিয়ে স্মার্ট দিদি (Smart Didi) নন্দিনী গাঙ্গুলি (Nandini Ganguly) বলেছিলেন ‘কদিন পরে হয়তো তোরা আর আমাকে এখানে দেখতে পাবি না’। আর তারপেরই শিরোনামে জায়গা করে নেয় ডালহৌসির স্মার্ট দিদির পাইস হোটেল (Pice Hotel) বন্ধের খবর।
নন্দিনী দিদির ভাতের হোটেল বন্ধ হয়ে যাবে! এই কথা শুনে সেই সময় বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন নেটিজেনরা। যদিও অনেকের দাবি ছিল সবটাই নাটক, সস্তার পাবলিসিটি স্টান্ট ছাড়া আর কিছুই না। আসলে ডালহৌসির এই ভাতের হোটেলে হামেশাই চলতে থাকে বিভিন্ন ধরনের হাই ভোল্টেজ ড্রামা।
ব্যাঙ্গালোরের চাকরি ছেড়ে বেশ কয়েক বছর আগে এই ভাতের হোটেলের হাল ধরেছিলেন নন্দিনী। যা অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল নতুন প্রজন্মের অনেক ছেলেমেয়েদের। কিন্তু জনপ্রিয়তার সাথে সাথেই বাড়তে থাকে এই স্মার্ট দিদির অহংকার। তাই একসময় সবাই যেমন তাকে ভালোবেসেছেন তেমনি দিনে দিনে তার পাল্টে যাওয়া ব্যবহার দেখে তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন সকলেই।
আরও পড়ুনঃ অহংকারই পতনের মূল! মাত্র ৮০ টাকায় মটন থালি নিয়ে নন্দিনীকে ওপেন চ্যালেঞ্জ ‘নতুন দিদি’র
কখনও বাবার বয়সী বৃদ্ধের গায়ে হাত তুলতে গিয়েছেন নন্দিনী, আবার কখনও দোকানের সামনে ভিড় করে দাঁড়ানো ইউটিউবারদের গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। যা দেখে অনেকদিন আগেই সকলে বলতে শুরু করেছিলেন ‘অহংকারই মানুষের পতনের মূল’। তবে সেইসব বিষয় দূরে রেখেই নন্দিনী দিদির ভাতের হোটেল বন্ধ হওয়ার খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিল মিডিয়ার লোকজন।
আরও পড়ুনঃ একেবারে বেহায়া, বিয়ের আগেই শারীরিক সম্পর্ক! ময়ূরীর চরিত্র দেখে ছি ছি করছেন দর্শক
তবে তারপরেই আচমকাই সুর পাল্টে যায় স্মার্ট দিদির। উধাও হয়ে যায় তার দুঃখ, কান্না সব। বরং এদিন বেশ হাসিমুখেই নন্দিনী জানালেন খুব শিগগিরই তার পাইস হোটেলের নতুন শাখা আসতে চলেছে। ভাতের হোটেল বন্ধ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে এদিন নন্দিনী বলেছেন ‘যা রটেছে সেরকমটা একদমই ঘটছে না। এমনিতেও এই লড়াইটা আজকের না। এটা শেষ ৩-৪ বছরের লড়াই। হুট করে বলল চলে যাও, আর চলে যাওয়া তো যায় না।
সেইসাথে নন্দিনী দিদির সংযোজন ‘তবে প্রথম থেকে সবাইকেই বলেছি এটা আমার স্থায়ী ঠিকানা নয়। এখানে আমি ভাড়া নিয়ে কাজ করেছি। হ্যাঁ আগে হলে আমি হয়তো চাকরি জীবনে ফেরত যেতাম। এখন আর চাকরি জীবনে ফেরত যাব না। আরেকটা কিছু শুরু করব। অবশ্য আরেকটা নয়, আরও বহু। তবে রেস্তোরাঁ নয়, পাইস হোটেলই খুলব।’