বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) জগতে এক নায়কের জীবনে দুই নায়িকা থাকার বিষয়টি যেমন নতুন ঘটনা নয়। তেমনই দুই বোনের একজন নায়ক পছন্দ এমন উদাহরণ রয়েছে একাধিক। কিন্তু তা সত্ত্বেও অন্যান্য সিরিয়াল থেকে একেবারে আলাদা স্টার জলসার পর্দায় সদ্য শুরু হওয়া সন্ধ্যাতারা (Sandhyatara) এবং আকাশ নীল (Akashneel) এর গল্প। কারণ দুই বোনের নিখাদ ভালোবাসার মোড়া এই সিরিয়ালে এক হিরো নিয়ে টানাটানি নেই। বরং রয়েছে দুই বোনের একে অপরের জন্য আত্মত্যাগ এবং স্বার্থত্যাগের গল্প।
সিরিয়ালটির যারা শুরু থেকে দেখছেন তারা সকলেই জানেন ধারাবাহিকে নায়কের মা বিজয়া মাঠান হলেন অত্যন্ত দাপুটে এবং পরোপকারী একজন মানুষ। যদিও শুরু থেকেই তার সাথে নায়িকা সন্ধ্যার নানা কারণে ভুল বোঝাবুঝির জন্য তুমুল ঝগড়া অশান্তি ঘটে গিয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও বিজয় মাঠানের নিজের ছেলের নীলের নিজের জন্য পছন্দ সন্ধ্যাকেই।
অন্যদিকে শহরের একই কলেজে পড়াশোনা করে সন্ধ্যার বোন তারা এবং বিজয়া মাঠানের ছেলে নীল। ইতিমধ্যেই নীল-তারা একে অপরকে ভালোবেসে ফেলেছে। এমনকি নীল তারাকে আংটি দিয়ে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছে।
অন্যদিকে গ্রামের বাড়ি এসে নীল জানতে পারে তার জন্য তার মা ইতিমধ্যেই বিয়ের পাত্রী ঠিক করে ফেলেছে। কিন্তু সেটা সন্ধ্যা হওয়ায় বেশ অবাক হয়ে যায় নীল। অন্যদিকে মেজদির পছন্দের পাত্রের ছবি দেখে পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে তারারও। গত পর্বেই দেখা গিয়েছে দিদির হবু বরের ছবি দেখে ফেলেছে তারা।
তাই এবার দিদির জন্য নিজের ভালোবাসাকে বলিদান দিতে চলেছে সে। এরই মধ্যে এসে গিয়েছে একটি নতুন প্রোমো। সেখানে দেখা যাচ্ছে। বিয়ের আসরে হাজির সন্ধ্যা এবং আকাশ নীল। শুভদৃষ্টির সময়ে আচমকা, বোন তারাকে দেখতে না পেয়ে বিয়ের মন্ডপ ছেড়ে ছুটে চলে যায় সন্ধ্যা। আর বোনকে হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে আসে সকলের সামনে। আর একসাথে সন্ধ্যা জানতে চায় কেন সে লুকিয়ে ছিল।
আরও পড়ুনঃ প্রতিভা থাকলেও কদর করেনি টলিউড! অভিনয় ছেড়ে শেষে নতুন পেশা বেছে নিলেন ‘সুবর্ণলতা’ অনন্যা
View this post on Instagram
এরপর নীলের কাছে জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায় তারার তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার আসল কারণ। নীল বুঝতে পারে দিদির জন্যই তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে তারা। তাই নীলও বিয়ের মণ্ডপে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেয় যে এই বিয়ে হবে না। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতির চাপে মায়ের পছন্দ করা মেয়ে সন্ধ্যা নাকি নিজের ভালোবাসা তারার সাথে বিয়ে হয় নীলের।