কমবেশি প্রায় প্রত্যেক মা-বাবাই বিশিষ্টজনের কাছে সন্তানকে গান-নাচ শেখাতে চান। আর কথাটা যদি হয় পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর (Pandit Ajoy Chakraborty) তাহলে তো ছেড়েই দিন! পণ্ডিতজির কাছে সন্তানকে গান শেখানোর স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। তবে সেই স্বপ্ন সবার পূরণ হয় না। কারণ শ্রুতিনন্দনে (Shrutinandan) টাকা নয়, বরং শেষ কথা বলে প্রতিভা।
অনেকেই হয়তো ভাবেন, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কাছে গান শেখার খরচ হয়তো প্রচুর। তবে এমনটা কিন্তু মোটেই নয়। এখানে ভর্তি হতে গেলে মাসিক যে টাকা খরচ হয় সেটা জানতে পেরে কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন অনেকেই। চলুন আজ তাহলে জেনে নেওয়া যাক, পণ্ডিতজির গানের স্কুলে ভর্তি হওয়ার ফিস সহ যাবতীয় নিয়মকানুন।
পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কাছে গান শেখার ফিস (Pandit Ajay Chakraborty Tuition Fees)
সম্প্রতি একটি নামী সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে শ্রুতিনন্দনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেখান থেকে জানা যায়, এখানে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রতি বছর ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একমাস আগে নাম লেখানো হয়। এরপর অডিশনের জন্য একটা তারিখ দেওয়া হয়। সেই অডিশনে যারা নির্বাচিত হন, একমাত্র তাঁরাই এখানে গান শেখার সুযোগ পান। ৬-১২ বছর পর্যন্ত ছেলেমেয়েরা শ্রুতিনন্দনে গান শেখার জন্য আবেদন করতে পারে। তখন আবেদনকারীর বার্থ সার্টিফিকেটের এক কপি জেরক্স লাগে।
আরও পড়ুনঃ জুটেছিল ‘ফ্লপমাস্টার’ তকমা, ছাড়তে চেয়েছিলেন অভিনয়! এই ৭ ছবিই বদলে দেয় উত্তম কুমারের জীবন
শ্রুতিনন্দনের অ্যাডমিশন ফর্মের দাম খুব বেশি নয়। মাসিক খরচও মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে। প্রতিমাসে মাত্র ৮০০-১০০০ টাকা ফিস নেওয়া হয়। তবে প্রত্যেকবার কিন্তু সংখ্যাটা এক থাকে না। কিছু কিছু বদল হয়। নাম লেখানোর বিষয়টা অনলাইনে করতে পারবেন না। সেটা গানের স্কুলে গিয়েই করতে হয়। কারণ তখনই অডিশনের তারিখ জানিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর যে সকল ছেলেমেয়েরা নির্বাচিত হন, তাঁদের মা-বাবার সঙ্গে ফোনে একটা ইন্টারভিউ হয়। কারণ পণ্ডিতজির স্কুলে সপ্তাহে একদিন ক্লাস করানো হয়। তাই বাকি দিনগুলোয় মা-বাবারা শিশুদের দায়িত্ব নিয়ে রেওয়াজ করাতে পারবেন কিনা তা জেনে নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে কারোর সমস্যা থাকলে সেই শিশুর নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ পর্দায় দুচোখের বিষ ছেলের বউ! বাবুউউর মা হয়ে অভিশাপ পর্যন্ত শুনেছি জানালেন ‘কৃষ্ণা’ অরিজিতা
উল্লেখ্য, শ্রুতিনন্দনে কাউকে অর্থের বিনিময়ে ভর্তি হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করা হয় না। ইন্টারভিউ হওয়ার পর যে সকল বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানকে ভর্তি করাতে ইচ্ছুক হন, শুধুমাত্র তাঁরাই ফর্ম ফিলাপ করে অ্যাডমিশন নেন। এর আগে অবশ্য গানের স্কুলে ফি কত হবে তা নির্ধারণের একটা মিটিং হয়।
শ্রুতিনন্দনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি এবং শনিবার দুপুর দু’টোয় একটি ক্লাস করানো হয়। রাত ৮-৯টা পর্যন্ত তা চলে। এছাড়া রবিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু করে রাত ৮:৩০ পর্যন্ত গান শেখানো হয়। বয়স এবং প্রতিভার বিচারে কে কতক্ষণ গান শিখবে তা ঠিক করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অনলাইনে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর ব্যক্তিগত একটি ক্লাস হয়। মাসে দু’দিন হয় এই ক্লাস এবং লাইভ রেকর্ডিং হয়। এছাড়া সিনিয়রদের একটি বিশেষ ক্লাস হয়। নিয়মিত গান শেখেন না, অথচ গান শেখার আগ্রহ আছে তাঁদের পণ্ডিতজি নিজে ক্লাস করান। বছরে ৬টা এই ‘অ্যাপ্রিশিয়েশন ক্লাস’ করানো হয়।