অপটিক্যাল ইলিউশন (Optical Illusion) বা চোখের ধাঁধা মানুষের একঘেয়েমি দূর করার একটি দারুণ উপায়। এই ধরণের ছবিগুলি একপ্রকারের দৃষ্টিবিভ্রম তৈরি করে। যে কারণে চোখের সামনে থাকা জিনিসও চট করে লোকে দেখতে পায় না। আজকের প্রতিবেদনে আপনার জন্য এমনই একটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছি আমরা।
অপটিক্যাল ইলিউশনের নানান রকমের ধরণ হয়। কোনোটিতে কিছু জিনিস বা অবয়ব খুঁজে বের করতে হয়, কোনোটি আবার মানুষের ব্যক্তিত্ব বলে দিতে সক্ষম। তবে চ্যালেঞ্জ যাই হোক না কেন, বিশেষজ্ঞরা বলেন এগুলি নিয়মিত সমাধান করলে মানুষের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। চলুন তাহলে ঝটপট দেখে নেওয়া যাক আজ কী চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছি আমরা।
আজকের প্রতিবেদনে যে চোখের ধাঁধাটি তুলে ধরেছি, সেটি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভাইরাল (Viral) সেই ছবিতে একটি দোকানের ভেতরকার দৃশ্য দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। একজন বিক্রেতা এবং বেশ কয়েকজন ক্রেতাকে দেখা যাচ্ছে সেই ছবিতে। তবে এখানেই রয়েছে টুইস্ট। কারণ এই দোকানে (Shop) সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝেই লুকিয়ে রয়েছে একটি শাকচুন্নি (Witch)। সেটিকে খুঁজে বের করাই হল আজকের চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুনঃ পার্কের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে একটি হিংস্র বাঘ, দম থাকলে ১৫ সেকেন্ডে খুঁজে দেখান
ভাইরাল এই অপটিক্যাল ইলিউশন সমাধান করার জন্য ঠিক ১৩ সেকেন্ড সময় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রায় ৯৯% মানুষই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শাকচুন্নিকে খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে হাতেগোনা যে কজন খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা আদায় করে নিয়েছে ‘জিনিয়াস’ তকমা। আপনি একবার চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেখুন তো পারেন কিনা।
আরও পড়ুনঃ তীক্ষ্ণ নজর থাকলে তবেই পাবেন খুঁজে! ৭ সেকেন্ডে ছবিতে লুকানো শব্দ দেখতে পেলে আপনি জিনিয়াস
ঘড়ি ধরে ১৩ সেকেন্ডের মধ্যে আপনি যদি শাকচুন্নিটিকে খুঁজে পেয়ে গিয়ে থাকেন তাহলে মানতেই হবে আপনার বুদ্ধির ভীষণ প্রখর। তবে না পেলেও চিন্তা নেই। কারণ আমরা বলে দিচ্ছি, দোকানের মধ্যে থাকা কোন ব্যক্তিটি আসলে শাকচুন্নি। ছবিটি ভালো করে খুঁটিয়ে দেখুন তাহলে হালকা নীল রঙের জামা পরা এক মহিলাকে দেখতে পাবেন।
সেই মহিলাই হল শাকচুন্নি। কারণ তার জামার মধ্যে একটি ছড়ি রয়েছে, যা বাকি আর কারোর কাছে নেই। এমনকি ছবিতে দেখতে পাওয়া দোকানেও তেমন ছড়ি বিক্রি হয় না। অর্থাৎ এখান থেকেই পরিষ্কার শাকচুন্নি আর কেউ নন, বরং সেই মহিলাই।