একদিনের বৃষ্টির সঙ্গেই রাজ্যে ঢুকে পড়েছে শীতের (Winter) আমেজ। আর শীতকাল মানেই জমিয়ে পিকনিক করা, ঘুরতে যাওয়া (Travel), নানান রকম উৎসবে মেতে ওঠা। ঠাণ্ডার এই আমেজটা মোটের ওপর মজা করে কাটান বেশিরভাগ বাঙালি। এখনই যেমন অনেকে কাছেপিঠে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েছেন। আপনার হাতেও যদি কয়েকটা দিন ছুটি থাকে তাহলে টুক করে ঘুরে আসতে পারেন একটি অফবিট পাহাড়ি গ্রাম (Offbeat Destination) থেকে।
মিরিকের (Mirik) কাছে অবস্থিত ছবির মতো সাজানো এই গ্রাম যেন পর্যটকদের অপেক্ষাতেই বসে আছে। সারা বছরের ক্লান্তি ভোলার জন্য এর থেকে ভালো জায়গা খুব কম রয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৪৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্থানের নাম হল বুংকুলাং (Bungkulung)। চারিদিকে সবুজে মোড়া এই জায়গা মূলত একটি কৃষি হাব। যত দূর চোখ যাবে শুধু দেখতে পাবেন সবুজ আর সবুজ।
বুংকুলাংয়ে প্রায় ১৯টি পুকুর আছে, সেখানে মাছ চাষ করা হয়। এখান দিয়েই বয়ে গিয়েছে বালাসন এবং মুর্মুহ নদী। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই স্থানে সারা বছরই যাওয়া যায়। তবে বর্ষাকালে এখানে একটু বেশি ভিড় হয়।
আরও পড়ুনঃ পাহাড়-জঙ্গল সাফারি কী নেই! রইল কলকাতার কাছে সেরা অফবিট ডেস্টিনেশনের হদিশ
ভিড় এড়িয়ে প্রকৃতির কোলে কয়েকটা দিন কাটাতে চাইলে আপনি চলে যেতে পারেন বুংকুলাং। পাখির কিচিরমিচির শুনে চোখ খোলার পর আপনি দেখতে পাবেন সবুজ আর সবুজ। এখানে বেশ কিছু চা বাগান আছে। পায়ে হেঁটে আপনি সেগুলি ঘুরে দেখতে পারবেন। এছাড়া কাছেই রয়েছে বোকার মনেস্ট্রি। মন চাইলে সেখান থেকেও ঢুঁ মেরে আসতে পারেন।
কীভাবে যাবেন?
বুংকুলাংয়ে যেতে হলে আপনাকে শিয়ালদহ থেকে ট্রেন ধরে প্রথমে শিলিগুড়ি যেতে হবে। এরপর সেখান থেকে গাড়িতে করে শিলিগুড়ি-মিরিক হাইওয়ে হয়ে পৌঁছে যেতে হবে নিজের গন্তব্যে। এছাড়া চাইলে আপনি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন হয়েও যেতে পারেন, তবে সেক্ষেত্রে একটু বেশি সময় লাগবে।
কোথায় থাকবেন?
বুংকুলাংয়ে থাকার জন্য একাধিক হোমস্টে রয়েছে। আশেপাশের জায়গা ঘোরার জন্য গাড়ির সুবন্দোবস্তও রয়েছে এখানে। এছাড়া আপনার যদি নেপালি সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ থাকে তাহলে এই স্থানে গেলে বেশ ভালোলাগবে।