ভালো খাবার আর ঘুরতে যাওয়ার (Travel) প্রতি বাঙালির দুর্বলতা চিরন্তন। কথাতেই আছে, বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। আর শীতকাল এলে সেই ইচ্ছেটা যেন আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। নভেম্বর-ডিসেম্বরের এই মনোরম আবহাওয়ায় কেউ লম্বা ছুটিতে দূরে কোথাও চলে যান, কেউ আবার সপ্তাহান্তে ঘুরে আসেন কাছেপিঠের কোনও জায়গা থেকে।
আপনিও যদি হালকা শীতের এই আবহে কলকাতার (Kolkata) কাছকাছি কোনও স্থান থেকে ঘুরে আসার কথা ভেবে থাকেন তাহলে একদম সঠিক প্রতিবেদন পড়ছেন। আজ আমরা যে জায়গার খোঁজ নিয়ে এসেছি তা পূর্ব বর্ধমান (Burdwan) জেলায় অবস্থিত। এই অফবিট লোকেশনের (Offbeat Location) নাম হল চুপি পাখিরালয় (Chupi Pakhiralaya)। সাদামাটা গ্রাম্য পরিবেশে কয়েকটা দিন কাটাতে চাইলে আপনি চলে যেতে পারেন এখানে।
জলাশয়ের ধারে শান্ত পরিবেশে কীভাবে দিন পেরিয়ে রাত হয়ে যাবে আপনি বুঝতে পারবেন না। এখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন বিভিন্ন ধরণের পরিযায়ী পাখির (Bird) ভিড়। শুধু দেশি নয়, অনেক রকম বিদেশি পাখিরও দর্শন হবে চুপি পাখিরালয়ে গেলে।
আরও পড়ুনঃ মাটির উপর সবুজ স্বর্গ! রইল মাত্র ২০০০ টাকায় শীতে অফবিট এই পাহাড়ি গ্রামে ঘোরার সেরা ঠিকানা
চুপি, রাজার চড়, কাষ্ঠশালীর মতো জায়গায় প্রত্যেক বছর শীতকালে দেশ-বিদেশের নানান পাখির আসে। আর তাদের দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। এখানে পাখিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য গাইড থাকে। পাশাপাশি পাখিদের ছবি তোলার জন্য দেখা মেলে অনেক জনপ্রিয় চিত্রগ্রাহকদের।
আরও পড়ুনঃ পাহাড়-জঙ্গল সাফারি কী নেই! রইল কলকাতার কাছে সেরা অফবিট ডেস্টিনেশনের হদিশ
এখানে নৌকা করে পাখিদের দেখারও ব্যবস্থা আছে। ইচ্ছা হলে নৌকাবিহার করতে করতে পাখিদের সঙ্গে পরিচয় করতে পারবেন আপনি। এর পাশাপাশি চুপি পাখিরালয়ে পিকনিক করার সুবন্দোবস্ত রয়েছে। সেই সঙ্গেই থাকার রিসর্টেও আছে। সেগুলির ভাড়া ১০০০-১৫০০ টাকার মধ্যে।
কীভাবে যাবেন?
চুপি পাখিরালয়ে যেতে হলে আপনাকে হাওড়া-কাটোয়া লাইনের যে কোনও ট্রেনে উঠে পড়তে হবে। এরপর নামতে হবে পূর্বস্থলী স্টেশনে। সেখান থেকে টোটো ধরে পৌঁছে যেতে হবে নিজের গন্তব্যে। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই স্থানে গেলে জুড়িয়ে যাবে আপনার শরীর-মন।