বাঙালি মানেই তাঁর ভালো নামের পাশাপাশি ডাক নাম (Nickname) থাকাটা একপ্রকার বাধ্যতামূলক। টলিপাড়ার তারকাদের (Tollywood actress) ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হয় না। মা-বাবা, আত্মীয় স্বজন থেকে শুরু করে কাছের মানুষেরা এই ডাক নামেই সাধারণত ডেকে থাকেন। শুনলে হয়তো অবাক হবেন, টলিউডের নামীদামী সেলেবদেরও বিচিত্র সব ডাক নাম রয়েছে। চলুন ঝটপট জেনে নেওয়া যাক তাঁদের ডাক নামগুলি কী কী।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee) : টলিউডের এই অভিনেত্রী আস্তে আস্তে বলিউডেও নিজের পসার জমাচ্ছেন। তাঁর ব্যক্তিত্ব বেশ আকর্ষণীয়। সেই স্বস্তিকারই ডাক নাম কিনা ‘ভেবলি’! প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সৌজন্যে এখন অবশ্য ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই স্বস্তিকার এই নাম জেনে গিয়েছেন।
পাওলি দাম (Paoli Dam) : যেমন সুন্দরী দেখতে, তেমনই তুখোড় তাঁর অভিনয়। সেই পাওলির ডাক নাম হল ‘পাও’। তাঁর কাছের মানুষরা এই নামেই তাঁকে ডাকেন। বিয়ের পর অভিনেত্রীর স্বামীও ভালোবেসে তাঁকে ‘পাও’ বলেই সম্বোধন করেন।
আরও পড়ুনঃ ১৭ বছরেই জন্ম ঝিনুকের, মা-ছেলের পবিত্র সম্পর্ককে কি ‘নতুন নাম’ দিলেন শ্রাবন্তী?
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee) : টলিপাড়ার এই সুন্দরী অভিনেত্রীকে নিয়ে সংবাদমাধ্যম এবং সমাজমাধ্যমে চর্চা লেগেই থাকে। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। তিন বিয়ে করা নিয়েও কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি তাঁকে। সেই শ্রাবন্তীর ডাক নাম হল ‘মিষ্টি’, ‘গিন্টু’।
আরও পড়ুনঃ শ্বাশুড়ি নামের আতঙ্ক নয়! সন্ধ্যাতারার বিজয়া মাঠানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক
মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) : টলিউডের এই সুন্দরী অভিনেত্রী যে কত পুরুষের হৃদয়হরণ করেছেন তা গুনে শেষ করা যাবে না। মিমি বলতে অজ্ঞান অনেকেই। সেই নায়িকার একাধিক ডাক নাম রয়েছে। অভিনেত্রীর মা তাঁকে ‘মোনা সোনা’ বলে ডাকেন। অপরদিকে তাঁর বাবা তাঁকে ‘বকপাখি’ বলে ডাকেন। এই নাম দেওয়ার পিছনে অবশ্য একটি কারণও রয়েছে। কারণ ছেলেবেলায় নাকি প্রায়ই মিমি এক পায়ের ওপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন। সেখান থেকেই তাঁর এই নামকরণ।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee) : টলিউডের পাশাপাশি বঙ্গ রাজনীতিরও পরিচিত মুখ হলেন সায়ন্তিকা। সুন্দরী এই অভিনেত্রী বহু পুরুষের ‘ক্রাশ’। সেই সায়ন্তিকার বাবা তাঁকে ‘দধিমণি’ বলে ডাকেন। এই নাম দেওয়ারও একটি কারণ রয়েছে।
আসলে ছোটবেলায় দুধ খাওয়ার পর সায়ন্তিকা তা তুলে দিতেন। সেখান থেকেই তাঁর নাম দেওয়া হয় ‘দধিমণি’। তবে এখন সায়ন্তিকা বড় হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁকে রাগানোর জন্য প্রায়ই সবার সামনে ‘দধিমণি’ বলে ডেকে ওঠেন তাঁর বাবা।