বঙ্গে শীতের সময় শুরু হয়ে গেছে। তবে বর্তমানে আবহাওয়ার ভাবগতিক বোঝা বড় দায়। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টির আনাগোনা হচ্ছে ঝিরিঝিরি করে। তবে এই সময় ঘুরতে যেতে (Travel) মন চায় বারংবার। বিশেষ করে যারা পাহাড়প্রেমী তাদের তো পাহাড় (Hill) যেন চুম্বকের মত টানে। এই সময়টায় পাহাড়ের সৌন্দর্য কয়েক গুনে বৃদ্ধি পায়। যদিও প্রকৃতির ছয় ঋতুতে সে ভিন্ন ভিন্ন রূপে সেজে ওঠে।
এখন যেমন কলকাতাতে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি দেখা যাচ্ছে মাঝেমধ্যেই। ঠিক তেমনই পাহাড়েও তো যখন তখন বৃষ্টি নামে। আর পাহাড় সেই বৃষ্টিতে ভিজে তার সৌন্দর্য বাড়িয়ে নেয় কয়েকগুন। এমন সময় ঘুরে আসতে পারেন দার্জিলিং থেকে। একেবারে সোজা চলে আসুন খড়কা গাঁও। নিরাশ হবেননা, প্রকৃতির সৌন্দর্য পাবেন, মনোরম পরিবেশ পাবেন আর পাবেন ভরপুর আনন্দ।
তবে এই সময় কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাবেন কিনা সেটা বলা একটু কঠিন। কারণ এই সময়টাই আকাশ মেঘাচ্ছন্নই থাকে। তবে একেবারেই যে সে সৌভাগ্য হবেনা তা কিন্তু মোটেও বলা যায়না। খড়কা গাঁও কালিম্পংয়ের একটি সুন্দর ও খানিক অপরিচিত গ্রাম।
বিশেষ পরিচিতি এই গ্রাম সম্পর্কে সকলের নেই। এনজেপি নেমে একটা গাড়ি ভাড়া করলেই সোজা গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন। রাস্তায় যেতে যেতে মেলি বাজারের কাছে দাঁড়াতে পারেন। সেখান থেকে তিস্তা নদীর শোভা বেশ অপরূপ। এছাড়াও পথে রাস্তার ধারের দোকান থেকে মোমো খেতেই হবে। না খেলে চরম মিস।
আরও পড়ুনঃ দীঘার বাজেটে উত্তরবঙ্গ! এবার শীতে ঘুরে আসুন এই মনোরম হিল স্টেশন থেকে, আজীবন মনে থাকবে
এই গ্রামের রাস্তা বেশ মনোরম, দুপাশে পাইন, বার্চ গাছের সারি দাঁড়িয়ে থাকে। সাথে আশেপাশে ছোট ছোট অনেক ঝর্ণা। আর নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে গেলে প্রচুর কমলালেবুর চাষ দেখতে পাবেন। তবে আগে থেকে সবটা বুকিং করে আসলেই ভালো হয়।
আর বর্তমানে অনেক হোমস্টে থেকে গাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা থাকে তো সেটা আগে থেকে জানা থাকলে আপনারই সাশ্রয়। এই গ্রামে অনেক হোমস্টে আছে। এখন থেকে কাছেই মানেদারা ভিউ পয়েন্ট, আর আছে পঞ্চমী ফলস। এছাড়াও, এখন থেকে ডেলো, লাভা লোলেগাঁও, রিশপ ঘুরে আসতে পারেন। এনজেপি থেকে এই গ্রামের পথ মাত্র তিন ঘন্টার। তাই আর বেশি চিন্তা না করে ঝটপট ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন ঠিকানায়। মন ভালো হবেই।