নভেম্বরের শুরু থেকেই শহরে শীতের (Winter) আমেজ বেশ বোঝা যাচ্ছে। সকালে কুয়াশার আনাগোনা, রাতে গায়ে চাদর দিয়ে শোওয়া বলে দিচ্ছে রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে খুব বেশিদিন বাকি নেই। হালকা শীতের এই আমেজে অনেকেই কাছেপিঠে ঘুরতে (Travel) যাওয়ার প্ল্যান করছেন। তবে এবার আর একঘেয়ে দীঘা-পুরী নয়, নভেম্বরের এই মনোরম আবহাওয়ায় ঘোরার জন্য আজ একটি অফবিট স্থানের (Offbeat Location) খোঁজ নিয়ে এসেছি আমরা।
প্রত্যেক বছর শীতে বহু মানুষ দার্জিলিং, কালিম্পং কিংবা ডুয়ার্স (Dooars) ঘুরতে যান। তবে এবার ট্রেনের টিকিটের অবস্থা ভীষণ টাইট। ওয়েটিং লিস্টের লম্বা লাইন অনেকেরই উত্তরবঙ্গ যাওয়ার প্ল্যান ভেস্তে দিয়েছে। তবে আর চিন্তা নেই! কারণ আজকের প্রতিবেদনে কলকাতার (Kolkata) কাছাকাছি ‘মিনি ডুয়ার্স’র (Mini Dooars) খোঁজ নিয়ে এসেছি আমরা।
আসল ডুয়ার্স যেতে না পারলেও দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসতেই পারেন ‘মিনি ডুয়ার্স’ থেকে। হাওড়া (Howrah) জেলায় অবস্থিত এই স্থানের নাম হল ঝালুয়ারবেড় (Jhaluarber)। তিলোত্তমা থেকে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত এই স্থানে ট্রেনে করে তো বটেই, চাইলে বাইক কিংবা গাড়ি করেও ঘুরে আসতে পারেন আপনি।
বাংলার পর্যটন মানচিত্রে ঝালুয়ারবেড় (Jhaluaber Station) জায়গাটি এখনও তেমন জনপ্রিয় হয়নি। তাই সেখানে ভ্রমণপিপাসু মানুষদের ভিড় তেমন চোখের পড়ে না। তবে যারা ঝালুয়াবেড় গিয়েছেন, জায়গাটির প্রশংসা করেছেন। আর শীতের মরসুমে তো এই স্থানের সৌন্দর্য আরও অনেকটা বেড়ে যায়। চারপাশে সবুজ নিরিবিলি জঙ্গল আর পাখিদের ডাক- যে কোনও মানুষের মন ভালো করে দিতে বাধ্য।
আরও পড়ুনঃ দীঘার বাজেটে উত্তরবঙ্গ! এবার শীতে ঘুরে আসুন এই মনোরম হিল স্টেশন থেকে, আজীবন মনে থাকবে
কীভাবে যাবেন?
‘মিনি ডুয়ার্স’ যেতে হাওড়া স্টেশন থেকে আপনাকে আমতা লোকাল ধরতে হবে। নামতে হবে ঝালুয়ারবেড় স্টেশনে। সেখান থেকে কিছুটা এগোলেই দু’পাশে গাছের সারি দেখতে পাবেন আপনি। আরও কিছুটা যাওয়ার পর দেখতে পাবেন শিব মন্দির, রামকৃষ্ণ বাটি।
ইচ্ছা হলে একটু সকাল সকাল ঝালুয়ারবেড়ের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়তে পারেন আপনি। তাহলে নানান রকম পাখিদের দেখা মিলবে। গোটা দিনটা সবুজের মাঝে কাটিয়ে বিকেল নাগাদ ফিরে আসতে পারবেন নিজের বাড়ি।