অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya) মানেই হাসি খুশি, প্রাণ খোলা একজন অভিনেত্রী। যাঁর অভিনয় দেখলেই মন ভালো হয়ে যায় দর্শকদের। ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’ সিরিয়ালের পর স্টার জলসার নতুন সিরিয়াল ‘জল থই থই ভালোবাসা’র (Jol Thoi Thoi Bhalobasa) হাত ধরে আবার ছোটপর্দায় কামব্যাক করেছেন অভিনেত্রী। ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে এই সিরিয়ালের সম্প্রচার। লীনা গাঙ্গুলির লেখা পারিবারিক গল্প নির্ভর এই সিরিয়াল প্রথম দিনেই মন জয় করে নিয়েছে দর্শকদের।
ধারাবাহিকের প্রথম পর্ব দেখেই প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন বাংলা সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকরা। পর্দায় কোজাগরী বসুর (Kojagori Basu) দুই ছেলে আর এক মেয়ে তোতা। সাথে রয়েছেন মজার মানুষ একজন শ্বাশুড়ি আর স্বামী। সব মিলিয়ে পরিবার নির য়ে একেবারে ভরা সংসার পর্দার এই ‘বুড়ি কাকিমা’র। পাড়ার ছেলেরা তাঁকে এই নামেই ডাকেন। বয়স তাঁর কাছে একটা সংখ্যা। তাইতো বয়সকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে হেসে-খেলে, নেচে-গেয়ে জমিয়ে বাঁচার স্বপ্ন দেখেন তিনি।
প্রথম পর্বেই একেবারে দেবী দশভুজা রূপে এন্ট্রি নিয়েছিলেন কোজাগরী। আসলে তাঁদের পাড়ায় ছোটদের জন্য যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেই দুর্গা সেজে হাজির পাড়ার ‘বুড়ি কাকিমা’। তাঁকে দশভুজা রূপে দেখে হাঁ উপস্থিত বাচ্চা বুড়ো সকলেই। প্রতিযোগীতায় দুর্গা সেজে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন কোজাগরী।
পুরস্কার জেতার পর মঞ্চে উঠেই গাল ভরা হাসি নিয়ে কোজাগরী বলতে শুরু করেন তিনি প্রতিযোগিতায় নাম দেবেন শুনে প্রথমে সবাই নাকি বলেছিলেন তিনি বাছুরের দলে নাম লিখিয়েছেন। তাই তাদের উদ্দেশ্যে এদিন কোজাগরি বলেছেন ‘যাদের শিং আছে তারা কেন নাম দিলেন নাই প্রতিযোগিতায় তাদেরকে কে বরণ করেছিল?’
আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার! মেঘের ওপর প্রতিশোধ নিতে পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে দিল নীল, ফাঁস আগাম পর্ব
সিরিয়ালে মাঝ বয়সী কোজাগরী বসু নিজের জীবনটাকে চুটিয়ে উপভোগ করতে ভালোবাসেন। তিনি মনে করেন ‘যে কদিন বাঁচবো জমিয়ে বাচবো। কে বলতে পারে আজ এত বকবক করছি কাল হয়তো আর কথাই বলতে পারবো না। তাই জীবনটা হেসে খেলে কাটাতে চান তিনি। বহুদিন পর বাংলা সিরিয়ালে এমন নিখাদ বিনোদন দেখে মন ছুঁয়ে গিয়েছে দর্শকদের।
অনেকে আবার মিল পেয়েছেন লীনা গাঙ্গুলির জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘খড়কুটো’র। পর্দায় কোজাগরী বসুর চরিত্রে অপরাজিতা আঢ্যের অভিনয় দেখে ঢালাও প্রশংসা করেছেন দর্শকরা। দর্শকদের বিচারে প্রথম পর্বেই একেবারে ফুল মার্কস পেয়ে পাশ করে গিয়েছেন পর্দার কোজাগরি বসু। তবে দেখার আগামি পর্বেও গল্পের এই ধরা বজায় রাখা সম্ভব হয় কিনা?