বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood) তো বটেই, গোটা ভারতের গর্ব হলেন সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray)। অস্কারজয়ী এই পরিচালকের অন্যতম সেরা সৃষ্টি হল ‘হীরক রাজার দেশে’ (Heerak Rajar Deshe)। গুপী-বাঘা শুধুমাত্র দু’টি চরিত্র নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালি সিনেপ্রেমী মানুষদের আবেগও। তবে এবার এই ‘হীরক রাজার দেশে’ অভিনেতাই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে, না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন তিনি।
শুক্রবার সকালে প্রয়াত হন ‘হীরক রাজার দেশে’ খ্যাত বর্ষীয়ান শিল্পী সমীর মুখোপাধ্যায় (Samir Mukherjee)। নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন সমীরবাবু। সম্প্রতি তাঁর শরীর আরও খারাপ হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বমিও হচ্ছিল। শুক্রবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে অভিনেতাকে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হল না। ৮০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন তিনি।
একটি নামী সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন সমীরবাবু। তাঁর মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা টলিপাড়ায়। সমীরবাবুর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে একটি পোস্ট করেন অভিনেতা দেবনাথ চট্টোপাধ্যায় (Debnath Chatterjee)।
আরও পড়ুনঃ দাদা বৌদিদের চক্রান্তে মৃত্যুর মুখে ‘রাঙা বউ’, টিভির আগেই ফাঁস তুলকালাম পর্ব
তিনি লেখেন, ‘ভালো থাকবেন সমীরবাবু। ছোটবেলার আরও একটা স্মৃতি হারিয়ে গেল। এই মানুষগুলোর আমরা কেউ খোঁজ নিই না। এটাই কি শিল্পীর জীবন!’ পাশাপাশি সমীরবাবুকে ভুলে যাওয়ার জন্য খানিক ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী (Sudipta Chakraborty)।
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগেই মা-বাবা হলেন গৌরব-ঋদ্ধিমা, ছেলে না মেয়ে? শুভেচ্ছায় ভরালো নেটপাড়া
সোশ্যাল মিডিয়ায় সুদীপ্তা লেখেন, ‘আমরা বেশ ভুলে যেতে পারি। পুরনোদের, বড়দের, আমাদের যারা হাঁটার রাস্তা তৈরি করে দিয়ে গেলেন তাঁদের। যারা এখন বাতিল অথবা ব্রাত্য তাঁদের সবাইকে বেশ ভুলে মেরে দিয়ে নিজেরা সেই রাস্তা দিয়ে দিব্যি হাঁটতে পারি। সঙ্গে আট/দশজন বাউন্সার নিয়ে (বেশিরভাগ সময়ই অকারণে)’। সমীরবাবুর ভাই এক নামী সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তাঁর দাদা। দু’দিন আগেই বাড়ি নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তাও শেষরক্ষা হল না। শুক্রবারই সব চেষ্টা ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন সমীরবাবু।