খবরবিনোদন

লোকের টাকা মেরে ১০০০ কোটির দুর্নীতি! প্রতারণার মামলায় জেরার মুখে ‘হিরো নং ১’ গোবিন্দা

১০০০ কোটির আর্থিক প্রতারণা, অপরাধ দমন শাখার জেরার মুখে গোবিন্দা

Govinda : বলিউডের সিনেমার (Bollywood Flim) মত আজকাল একধিক দুর্নীতি সামনে আসছে। যেখানে কেউ ৫০০ কোটি তো কেউ ১০০০-২০০০ কোটির আর্থিক প্রতারক করেছেন। সম্প্রতি এমনই এক আর্থিক দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়িয়েছে বলিউডের অভিনেতা গোবিন্দার (Govinda)। আসলে বলিউড বা বিনোদন জগতের সাথে আর্থিক প্রতারণা নতুন কিছু নয়! ইতিহাসে দাউদ ইব্রাহিমের সাথেও বলিউডের যোগাযোগের কথা শোনা গিয়েছিল। এমনকি এযুগেও একাধিক তারকা এমন দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন।

কিছুদিন আগেই জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। সেই মামলা এখনো কোর্টে চলছে, সেখানে নাম জড়িয়েছে নোরা ফাতেহিরও। তবে এরই মাঝে গোবিন্দাকে নিয়ে রীতিমত হইচই পড়ে গিয়েছে বি টাউনে। কারণ ১০০০ কোটির দুর্নীতি সত্যিই চর্চার বিষয়।

Govinda

যেমনটা জানা যাচ্ছে, ওড়িশা পুলিশের অপরাধ দমন শাখার তরফ থেকে গোবিন্দার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। এর জন্য আগামী দিনে জেরা করা হতে পারে অভিনেতাকে। কিন্তু কিভাবে এই অনলাইন প্রতারণা হল? এর উত্তরে জানা যাচ্ছে অনলাইন ক্রিপ্টো কারেন্সি বিনিয়োগ নিয়েই হয়েছে প্রতারণা।

আরও পড়ুনঃ টিকিটের টাকা ফেরত চাই! ভারতে হিট হলেও বিদেশে ‘জওয়ান’ দেখেই ক্ষুদ্ধ দর্শক, কেন জানেন?

অপরাধ দমন শাখার আধিকারিক জে.এন. পঙ্কজ এর কথায়, টেকনো অ্যালায়ন্স নামক একটি কোম্পানি যেটি একাধিক দেশে Crypto Currencies এ বিনিয়োগ করে তার সাথেই নাম জড়িয়েছে গোবিন্দার। কারণ এই কোম্পানির হয়ে বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলেন তিনি। এবার সেই ব্যাপারেই জেরার জন্য গোবিন্দাকে ডাকা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ অভিনয়ের দক্ষতা সত্ত্বেও শুধু কৌতুক অভিনেতা? সিনেমা-সিরিয়ালে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে অকপট শুভাশীস

Fraud in the name of Govinda actor warns everyone

আসলে তদন্তের গভীরে যাওয়ার জন্যই গোবিন্দাকে জেরা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে অভিনেতাকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়নি। কিন্তু এমন একটা বড়সড় আর্থিক প্রতারণার মামলায় নাম আসতেই রীতিমত বিটাউনের হট টপিক হয়ে গিয়েছেন গোবিন্দা।

প্রসঙ্গত, এই  কোম্পানিতে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। বিহার, উত্তর প্রদেশ,ওড়িশা, ভুবনেশ্বর থেকে শুরু করে দেশের একাধিক জায়গা থেকে মোট প্রায় ৩০ কোটিরও বেশি টাকা তুলেছে কোম্পানিটি। মামলায় ইতিমধ্যেই কোম্পানির প্রধান গুরতেজ সিং সিধু ও নিরোদ দাসকে গ্রেফতার করেছে। তবে দেশের বাইরে হাঙ্গেরিতে ডেভিড গেজ নামক এক ব্যক্তিও এর সাথে জড়িত। তার নামেও সার্কুলার জারি করা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।

Back to top button