‘দাদাগিরি’র (Dadagiri 10) সাম্প্রতিক পর্বে খেলতে এসেছিলেন ‘দাদা বৌদি বিরিয়ানি’র (Dada Boudi Biriyani) দোকানের দুই কর্ণধার। ব্যারাকপুরের এই দোকান বিরিয়ানিপ্রেমীদের মধ্যে ভীষণ জনপ্রিয়। ১৯৭৫ সালে ধীরেনবাবু এবং সন্ধ্যাদেবীর হাত ধরে পথচলা শুরু হয়েছিল ‘দাদা বৌদি বিরিয়ানি’র। সেখানকার মানুষজন ভালোবেসে দোকানের দাম দেয় ‘দাদা বৌদি বিরিয়ানি’। এই নামেই এখন বঙ্গজোড়া পরিচয়।
‘দাদাগিরি’ (Dadagiri) সঞ্চালক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) যে বিরিয়ানি খেতে ভীষণ ভালোবাসেন তা কমবেশি সকলেই জানেন। মঞ্চে তাই ‘দাদা বৌদি বিরিয়ানি’র দোকানের দুই কর্ণধারকে পেয়ে খোশগল্পে মেতে ওঠেন ‘মহারাজ’। ধীরেনবাবু বলেন, ১৯৭৫ সালে যখন দোকান শুরু হয় তখন প্রচুর কষ্ট করেছেন। তবে চিরকাল সতপথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসেছেন। আর সেখান থেকেই পেয়েছেন ‘দাদা বৌদি’ নাম।
‘দাদা বৌদি বিরিয়ানি’র কর্ণধার ধীরেনবাবু জানান, দৈনিক ১ লাখ টাকা আয় হয়েই যায় তাঁদের। আগে তিনি হিসেব রাখতেন, তবে এখন দুই ছেলে সঞ্জীব আর রাজীবের হাতে ব্যবসার দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন। এদিকে ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে মা-বাবার সঙ্গে খেলতে এসেছিলেন সঞ্জীববাবু। তাঁর থেকেই ব্যবসার সম্বন্ধে নানান খুঁটিনাটি জেনে নিন সৌরভ।
আরও পড়ুনঃ রূপাকে বাঁচাতে ভিক্ষা চাইছে দীপা, তবুও মুখ ফেরালো নিষ্ঠুর লাবণ্য! ফাঁস চোখে জল আনা পর্ব
সঞ্জীববাবু বলেন, দৈনিক এক-একটা কাউন্টার থেকে প্রায় চার-পাঁচ হাজার প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি হয়। বার্ষিক আয় প্রায় ১০০ কোটি। প্রত্যেকদিন দোকানের জন্য প্রায় ৮০০-১০০০ কেজি মাংস কিনতে হয়। সঞ্জীব এবং রাজীব নিজেরা দেখে মাংস কেনেন। বিরিয়ানির মান যাতে কোনও ভাবে না কমে তা সুনিশ্চিত করতে কোনও ত্রুটি রাখেন না ‘দাদা বৌদি বিরিয়ানি’র দোকানের কর্ণধাররা। গত চার দশক ধরে বিরিয়ানি বানাচ্ছেন তাঁরা।
কথার শেষে সৌরভ-কন্যা সানাকে নিজের দোকানে আমন্ত্রণ জানান ‘দাদা বৌদি বিরিয়ানি’র কর্ণধার সন্ধ্যাদেবী। তা শুনে ‘মহারাজ’ বলেন, সানা গেলেই শুধু হবে না তাঁকে বিরিয়ানি নিয়েও আসতে হবে। এরপর ‘দাদা বৌদি’র দোকানের বিরিয়ানি টেস্টও করেন ‘দাদাগিরি’ সঞ্চালক। পাশাপাশি খানিক অভিযোগের সুরে জিজ্ঞেস করেন, দক্ষিণ কলকাতায় কেন কোনও শাখা তাঁরা খুলছেন না?
আরও পড়ুনঃ এক দশকেরও বেশি বাংলার ‘দিদি নং ১’! কত রোজগার করেন রচনা ব্যানার্জী? জানলে অবাক হবেন
প্রসঙ্গত, ‘দাদাগিরি’র সাম্প্রতিক পর্বে বাংলার ঐতিহ্যশালী এবং প্রাচীন বেশ কিছু খাবারের দোকানের কর্ণধাররা উপস্থিত হয়েছিলেন। ‘দাদা বৌদি বিরিয়ানি’র দোকানের কর্ণধাররা ছেলেও খেলতে এসেছুলেন শ্যামবাজারের জনপ্রিয় হরিদাস মোদকের এখনকার মালিক, শক্তিগড়ের ল্যাংচা কুটির দোকানের কর্ণধার প্রমুখ।