দৈনন্দিন জীবনে যখন হাপিয়ে ওঠে মন-প্রাণ তখন প্রয়োজন ছুটি নিয়ে একটু ভ্রমণের (Travel)। বাঙালির ঘুরতে যাওয়া মানেই দীঘা-পুরী-দার্জিলিং আছেই। তবে সেসব জায়গাতেও আজকাল লোকে ঠাসা, তাই অফবিক লোকেশনের (Offbeat Travel Destination) খোঁজে মেতেছেন অনেকেই। আজ এমনই এক অফবিট লোকেশনের হদিশ নিয়ে হাজির বংট্রেন্ড। বিশেষ করে পাহাড়প্রেমীদের (Hill Station Lover) জন্য এই পাহাড়ি গ্রাম স্বর্গের মত সুন্দর লাগতেই পারে।
উত্তরবঙ্গ ভ্রমণের জন্য দার্জিলিং, সিকিম থেকেই কার্শিয়াং বিখ্যাত। তবে এগুলি ছাড়াও একাধিক অফবিট গ্রাম ও লোকেশন রয়েছে যেখানে পর্যটকদের ভিড় কম অথচ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নৈস্বর্গিক। আপনিও যদি একটু নিরিবিলিতে পাহাড়ের সময় কাটাতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আসে হবে গুরদুমে (Gurdum)।
দার্জিলিং থেকে গাড়ি করেই পৌঁছে যাওয়া যায় গুরদুমে। যাবার পথে রাস্তার রোডোডেনড্রন আর পাইনের বন যেমন দেখতে পাবেন তেমনি থাকবে পাহাড়ি সৌন্দর্য। এরপর গুরদুম পৌঁছে গেলেই যেমন দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা, তেমনি পাখি প্রেমীরাও দেখতে পাবেন ভিন্ন জাতের পাখিদের। এছাড়াও গুরদুম ঘুরতে গেলে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা মাস্ট বলতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ দোলের ছুটিতে ঘুরতে যেতে চান? রইল বসন্তের ছবির মত সুন্দর পুরুলিয়ার কম বাজেটের ট্রাভেল প্ল্যান
কিভাবে যাবেন গুরদুম?
কলকাতা বা শিয়ালদহ থেকে যেকোনো নিউ জলপাইগুড়ি গামী ট্রেনে উঠে পড়ুন। এনজেপি স্টেশনে নেমে সেখান থেকেই গাড়ি বুক করে পৌঁছে যেতে পারেন গুরদুমে। স্টেশন থেকে গুরদুমের দূরত্ব ১৩০ কিমি মত। আবার আপনি যদি সান্দাকফু যান সেখান থেকেও ট্রেকিং করে আসতে পারেন। এতে ট্রেকিংয়ের অনুভূতিও হয়ে যাবে।
কি দেখবেন গুরদুমে?
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮ হাজার কিমিরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত গুরদুম। যেখানে আছে সিঙ্গোলিলা জাতীয় উদ্যান। সেখানে পাহাড়ি ফুল ও অর্কিড তো বটেই পেন, রোডোডেন্ড্রনের সারি থেকে প্রচুর পাখি দেখতে পাবেন। এই সবটাই পাবেন নিরিবিলি পরিবেশে, কারণ এখানে পর্যটকের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম।
আরও পড়ুনঃ দার্জিলিং-সিমলার থেকেও বেশি সুন্দর! কলকাতার কাছেই এই ‘মিনি তিব্বত’ না গেলে পস্তাবেন আজীবন
গুরদুমে একাধিক হোম স্টে রয়েছে থাকার জন্য। যার খরচ হতে পারে ১৫০০ টাকা প্রতিদিনের আশেপাশে। হোম স্টেতে থাকা খাওয়া সমস্ত ব্যবস্থা থাকবে। ভোরবেলায় ঘুম ভাঙলে দেখতে পাবেন জানলা দিয়ে মেঘেরা প্রবেশ করেছে ঘরে। এরপর সকাল হলেই খালি চোখে দেখতে পাবেন অপরূপ সুন্দর কাঞ্চনজঙ্ঘা।