বাংলা বিনোদন জগতের জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হলেন অভিনেত্রী ইন্দ্রানী দত্ত (Indrani Dutta)। নব্বইয়ের দশকের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী এক সময় দাপিয়ে কাজ করেছেন বড় পর্দায়। একসময় নায়িকা হয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) এবং তাপস পালের (Tapas Pal) মতো জনপ্রিয় অভিনেতাদের। তারপর বেশ কিছুদিন অভিনয় থেকে দূরে গিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন নিজের সংসার এবং নাচের ক্যারিয়ার নিয়ে।
বর্তমানে ইন্দ্রানী দত্তর রয়েছে একটি নিজস্ব নাচের স্কুল। তাঁর সেই নাচের স্কুল এখন ভারত বিখ্যাত। নিজস্ব ট্রুপ নিয়েই মাঝেমধ্যে চলে যান দেশ-বিদেশে শো করতে। তিনি মনে করেন নাচের দুনিয়ায় তাঁকে অতিরিক্ত মাইলেজ দিয়েছে তাঁর অভিনয় সত্তা। করোনা কালে নাচের অনুষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বাড়ি বসেই ভিডিও এবং প্রচুর ভার্চুয়াল শো করেছিলেন অভিনেত্রী।
বহুদিন অভিনয় থেকে দূরে থাকার পর ২০২০ সালে জি বাংলার মেগা সিরিয়াল ‘জীবন সাথী’র হাত ধরে ছোট পর্দায় কামব্যাক করেছিলেন ইন্দ্রানী। যদিও ওই সিরিয়ালটি গত বছরের মার্চ মাসের শেষ হয়ে গিয়েছে টেলিভিশনের পর্দায়। প্রসঙ্গত দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে ইন্দ্রানী উপহার দিয়েছেন একঝাঁক বাংলা সিনেমা। বড় পর্দায় তাঁর অভিনীত বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমাগুলি হল কেঁচো খুঁড়তে কেউটে,পতি পরম গুরু, তুমি যে আমার, দেবী, পাপী, মিত্তির বাড়ির ছোট বউ, বেলা শেষে, এবং বেলা শুরু।
আরও পড়ুনঃ নায়ক মানেই হ্যান্ডসাম নয়! অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জিতে সবার প্রিয় ‘রূপ’ অভিনেতা দেবায়ন
সম্প্রতি নিজের অভিনয় থেকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এক অকপট সাক্ষাৎকারে বসেছিলেন অভিনেত্রী। সেখানেই জানিয়েছেন নানান আজানা কথা। প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন অভিনয় জগৎ থেকে দূরেই রয়েছেন ইন্দ্রানী। তাই তিনি অভিনয় জগৎ মিস করেছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে এদিন বলেছেন ‘‘করেছি তো। সমসাময়িক নায়িকাদের তুলনায় আমার বিয়ে বেশ কিছুটা আগে হয়ে যায়। আমার কাছে কাজের প্রস্তাব আসা কমতে লাগল। আমার কোথাও মনে হয়, বিবাহিত অভিনেত্রীদের গ্রহণযোগ্যতা কমে যায়। তবে এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত।’’
আরও পড়ুনঃ কয়েকবছর এগিয়ে গেল গল্প, ছোট্ট কমলা-মানিকের বদলে কাদের দেখা যাবে কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজে?
এতদিন অভিনয় কেন করেননি জানতে চাওয়া হলে ইন্দ্রাণী এদিন অকপটে বলেছেন, ‘‘কেউ আমাকে ডাকেনি তাই।’’ আর তিনি নিজেও কারও কাছে কাজ চাননি। কারণ হিসাবে অভিনেত্রীর স্পষ্ট জবাব ‘‘ওগুলো আমি পারি না। আমার মনে হয়, বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে তো সকলে আমাকে চেনেন। আমি কেমন অভিনেত্রী জানেন, তা হলে আলাদা করে কাজ চাইতে যাব কেন? ‘আমাকে কাজ দাও’ বলার মধ্যে খারাপ কিছু নেই কিন্তু আমার অস্বস্তি হয়। তা ছাড়া কোথাও একটা অভিমানও তৈরি হয়েছিল।”