ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) নামটা শুনলেই আজও মনটা কেমন করে ওঠে। দর্শকদের প্রিয় টেলি অভিনেত্রীদের (Bengali Actress) অন্যতম ছিলেন তিনি। যেদিন ঐন্দ্রিলার চলে যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে এল সেদিন গোটা বাংলার মানুষ কেঁদেছিল। সবাই ভেবেছিল আগের মত সেবারেও হয়তো লড়াই করে ফিরবেন অভিনেত্রী। কিন্তু তা আর হল না। তবে চিরবিদায় নিলেও নিজের কাজের মাধ্যমে কিন্তু এখনও সকলের মনে বেঁচে থাকবেন তিনি। আজকের এই প্রতিবেদনে ঐন্দ্রিলা অভিনীত ৫ সিনেমা ও সিরিয়ালের নাম তুলে ধরা হল।
ঝুমুর (Jhumur) : ২০১৭ সালে অভিনেত্রী হিসেবে পথচলা শুরু ঐন্দ্রিলার। ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকের হাত ধরে টেলিভিশন দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন তিনি। এই সিরিয়ালের সেটেই তাঁর সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় সব্যসাচী চৌধুরীর। তিনি ছিলেন ঐন্দ্রিলার সহ অভিনেতা। সেখান থেকেই প্রথমে বন্ধুত্ব এবং পরে দু’জনের মধ্যে গড়ে উঠেছিল প্রেমের সম্পর্ক।
জিয়ন কাঠি (Jiyon Kathi) : ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকের হাত ধরে ডেবিউ হলেও ঐন্দ্রিলার জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরু ‘জিয়ন কাঠি’ ধারাবাহিকের হাত ধরে। ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চলেছিল এই ধারাবাহিকটি। ঐন্দ্রিলার বিপরীতে এই সিরিয়ালে প্রথমে দেখা গিয়েছিল জয় মুখার্জি এবং পরে জনপ্রিয় টেলি অভিনেতা সোমরাজ মাইতিকে।
আরও পড়ুনঃ মনে হয় না সব্য আর কাউকে ভালোবাসতে পারবে! ঐন্দ্রিলার মৃত্যুবার্ষিকীতে ভেঙে পড়লেন মা শিখা শর্মা
আমি দিদি নম্বর ১ (Ami Didi No. 1) : সিরিয়ালের দুনিয়ায় ডেবিউ করার ৩ বছরের মাথায় অর্থাৎ ২০২০ সালে বড়পর্দায় হাতেখড়ি হয়েছিল ঐন্দ্রিলার। সেই বছর মুক্তি প্রাপ্ত ‘আমি দিদি নম্বর ১’ ছবির মাধ্যমে সিনেমার দুনিয়ায় পা রাখেন অভিনেত্রী। এই ছবিতে তাঁর সহ অভিনেতা ছিলেন আদৃত রায়। হ্যাঁ, ঠিকই দেখছেন। ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের সিদ্ধার্থের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন ঐন্দ্রিলা।
আরও পড়ুনঃ অবাঙালি হলেও দুর্দান্ত অভিনয়ের দৌলতে জিতেছেন দর্শক মন, রইল টেলি পাড়ার এমনই ৭ তারকাদের তালিকা
লাভ ক্যাফে (Love Cafe) : শুধুমাত্র ‘আমি দিদি নম্বর ১’ই নয়, আরও একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। হৃতজিৎ মুখার্জির সঙ্গে ‘লাভ ক্যাফে’ ছবিতেও দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে।
ভাগাড় (Bhagar) : মৃত্যুর আগে ঐন্দ্রিলাকে দেখা গিয়েছিল ‘ভাগাড়’ ওয়েব সিরিজে। এই সিরিজে ঐন্দ্রিলার সঙ্গেই অভিনয় করেছিলেন সব্যসাচী চৌধুরীও। এছাড়াও রজতাভ দত্ত, অম্লান মজুমদারদের মতো শিল্পীদেরও দেখা গিয়েছিল ‘ভাগাড়’এ।
এছাড়াও আরও একটি ছবির কাজ ছিল ঐন্দ্রিলার হাতে। সেই ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য গোয়ায় যাওয়ার কথা ছিল অভিনেত্রীর। কিন্তু তার আগেই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। ভর্তি হন হাসপাতালে। ২০ দিনের লড়াইয়ের পর থেমে যায় ‘ফাইটার’ ঐন্দ্রিলার জীবনযুদ্ধ। তবে একথা নিশ্চিন্তে বলা যায় যে নিজের কাজের মধ্যে দিয়েই দর্শক হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবেন চিরকাল।