সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন অথচ ‘স্মার্ট দিদি’ নন্দিনীকে (Nandini Didi) চেনেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। সমাজমাধ্যম খুললেই তাঁর কোনও না কোনও ভিডিও ভাইরাল হতে দেখা যায়। নন্দিনী দিদির হোটেলের সামনে নিত্যদিন কিছু না কিছু লেগে থাকে। কখনও দেখা যায় কোনও ইউটিউবারকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। কখনও আবার দেখা যায়, কোনও বৃদ্ধ লোকের গায়ে হাত তুলছেন ‘স্মার্ট দিদি’ (Smart Didi)।
এসব নিয়ে কম বিতর্কের মুখে পড়তে হয় না নন্দিনী দিদিকে। তবে তিনি সেসব কথা গায়ে মাখেন না। কিন্তু এবার সেই নন্দিনী দিদিকে টেক্কা দিতেই নতুন প্রতিযোগী চলে এল বাজারে। পাইস হোটেলের বাজারে নন্দিনী দিদির একচ্ছত্র আধিপত্য শেষ করতে চলে এসেছে মিষ্টি দিদি (Mishti Didi)। তাঁদের দোকানের খাবারের দাম শুনলে অবাক হয়ে যাবেন আপনিও।
দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral) হয়েছেন মিষ্টি দিদি। তাঁকে নন্দিনীর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলেন তিনি সাফ বলেন, ‘কে নন্দিনী দিদি? আমরা তাঁকে চিনি না। তাঁকে বলুন আমাদের আশি টাকার মাংস ভাত যেন খেয়ে যায়’।
এক্ষেত্রে বলে রাখি, ডালহৌসির অফিসপাড়ায় নন্দিনী দিদির পাইস হোটেলে মটন থালির দাম ২২০ টাকা। আর সেই একই মটন থালি মিষ্টি দিদি বিক্রি করছেন মাত্র ৮০ টাকায়! এখনকার মূল্যবৃদ্ধির বাজারে কীভাবে মাত্র ৮০ টাকায় ব্যবসা করছেন মিষ্টি দিদিরা?
এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করায় রান্না করতে করতেই ছোট বোন উত্তর দেন, ‘লাভ-ক্ষতি জানি না। দিদি সব দেখে। দিদি বলেছে অত লাভ-ক্ষতির বিষয়ে ভাবতে হবে না। যে দামে পারবি সেই দামেই লোককে খাওয়াবি’। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে মিষ্টি দিদি এবং তাঁর বোনের দোকানের খাবারের রেট।
প্রসঙ্গত, ডালহৌসির অফিসপাড়ায় এখন পাইস হোটেল চালালেও নন্দিনী দিদি আসলে ফ্যাশান ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। বেঙ্গালুরুতে চাকরিও করতেন তিনি। তবে কোভিডের সময়ে মা-বাবার পাশে দাঁড়াতে কলকাতায় চলে আসেন ‘স্মার্ট দিদি’। এরপর থেকে ডালহৌসির এই পাইস হোটেল সামলাচ্ছেন তিনি।