টলিউডের অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। সর্বদাই কোনো না কোনো কারণে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে থাকেন অভিনেত্রী। এবছরেই বাবাকে হারিয়েছেন অভিনেত্রী, কুকুরদের প্রতি ভালোবাসার জন্য আবাসনের লোকেদের রোষের মুখেও পড়েছেন। তবে এবার নিজের দীর্ঘদিনের বদঅভ্যাস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। প্রতিজ্ঞা নিলেন এই বদভ্যাস ছাড়বেনই ছাড়বেন।
অনেক ছোট থেকেই সিগারেটের নেশা রয়েছে শ্রীলেখার। তবে দীর্ঘদিনের এই নেশা এবার কষ্ট দিচ্ছে তাকে, অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই এবার নেশা ছাড়ছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা জানিয়েছেন, কথা বলা তো দূর, দম নিতেও কষ্ট হচ্ছে। কেমন একটা চাপ অনুভব করছেন বুকে। বুঝতেই পারছেন ডাক্তার দেখলে সবার আগে ডাক্তারের ধূমপান ছাড়ার পরামর্শ দেবেন।
তাই এবার নিজেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেত্রী। দীর্ঘদিনের সিগারেটের নেশাকে এবার ‘টাটা বাই বাই’ করছেন তিনি। এই মর্মে সোশ্যাল মিডিয়াতে শ্রীলেখা লিখেছেন, ‘সিগারেটটা ছাড়তে চাই, সেই কলেজের প্রথম দিক থেকেই এই বাজে অভ্যাসটা শুরু হয় (না সিনেমায় আসার পর সিগারেট খাওয়া ধরিনি)। বাবার কাছে বকুনিও খেয়েছি দুয়েকবার মার পর্যন্ত খেয়েছি (মোগ্যাম্বো বাবা ছিল সেই সময়)। সেই বাবা এক সময় আমার থেকেই সিগারেট চুরি করে খেয়েছিল। এমনই সম্পর্ক ছিল আমাদের’।
এখানেই শেষ নয়, অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ক্লাস নাইন-টেনে পড়ার সময়েই প্রথম সিগারেটের সাথে পরিচয় হয়েছিল। বাবার ঘর থেকে চুরি করেই সিগারেটে ‘সুখটান’ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। বাবা সেসব জানতেন না, তাই ভয়ের চোটে ছাইদানে নয় বরং ফুলদানির ভেতরে ছাই ফেলে ধরা পরে গিয়েছিলেন বাবার কাছে।
এমনকি একবার শুটিং ফ্লোরের বাইরে শ্রীলেখাকে সিগারেটে সুখটান দিতে দেখতে পেয়েগেছিলেন বাবা সন্তোষ মিত্র। বাড়ি ফিরতেই জুটেছিল বকুনি। বাবা বলেছিলেন, ‘এক হাত লোকেদের সামনে দাঁড়িয়ে আমার মেয়ে মুখ দিয়ে ধোঁয়া ছাড়ছে! মনে হয়েছিল মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে ফেলি!’
যে বাবা মেয়ের সিগারেট খাওয়া পছন্দ করতেন না। সেই বাবাই একসময় মেয়ের থেকে সিগারেট চুরি করটেন আর ধরা পড়লে পরামর্শ দিতেন দামি সিগারেট না খাওয়ার। অবশ্য শুধুই যে বাবা তা নয়, শিলাদিত্যের সাথে বিয়ের পর ফুলশয্যার রাতে শ্বশুরমশাইয়ের ঘর থেকেও সিগারেট চুরি করতে গেছিলেন তিনি। এমন হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে সিগারেটের সাথে। নেশা ছেড়ে দিলেও সেগুলো মনে গেঁথে রয়েই যাবে।