পর্দায় কখনও তাঁকে ‘গোয়েন্দা গিন্নি’, কখনও আবার ‘শ্রীময়ী’ (Sreemoyee) রূপে দেখেছেন দর্শকরা। নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে বারবার সকলের মন জয় করে নিয়েছেন ইন্দ্রাণী হালদার (Indrani Halder)। তাঁর প্রাণখোলা স্বভাব অনুরাগীদের ভীষণ পছন্দের। কর্মজীবন হোক বা ব্যক্তিগত জীবন কোনও কিছু নিয়েই রাখঢাক করেন না অভিনেত্রী। প্রেমজীবন নিয়েও বহুবার খোলামেলা কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
দেখতে দেখয়ে বয়স ৫০ পেরিয়ে গেলেও, মনের দিক থেকে এখনও অষ্টাদশী ইন্দ্রাণী। সেই তরুণী যেমন প্রেমে পড়েন, তেমনই প্রেম ভেঙে গেলে কষ্টও পান! সপ্তাহখানেক পরেই আবার ভ্যালেন্টাইনস ডে (Valentine’s Day)। এই বছর সরস্বতী পুজোও একই দিনে পড়েছে। অনেকে সরস্বতী পুজোকে বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস ডে-ও বলে থাকেন। তার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইন্দ্রাণী হালদারের প্রেমজীবনের (Indrani Halder Love Life) কিছু অজানা কাহিনী।
সুন্দরী মেয়ে হলে এমনিতেই প্রচুর প্রেম প্রস্তাব আসে। আর সেই মেয়ে যদি অভিনেত্রী হন তাহলে তো ছেড়েই দিন! সুন্দরী নায়িকার প্রেমে পাগল বহু পুরুষ। ইন্দ্রাণী হালদারও ব্যতিক্রম নন। এখনও তাঁর হাসিতে ঘায়েল হয়ে যান বহু মানুষ। তাঁকে দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায় অনেকের।
আরও পড়ুনঃ দীপাকে একা ফেলে ঊর্মির সঙ্গে পাহাড়ে সূর্য! দিব্যজ্যোতি-সৌমিলির ছবি দেখেই ধরে ফেললো নেটিজেনরা
একবার এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ইন্দ্রাণী বলেছিলেন, ‘আমায় সরাসরি এসে কেউ বলে না। যাঁকে পাত্তা দেওয়ার হয়, তাঁকে পাত্তা দিই। যাঁকে পাত্তা দেওয়ার হয় না, তাঁকে ভাইফোঁটায় নেমন্তন্ন করি’।
পর্দার ‘শ্রীময়ী’র (Sreemoyee) কথায়, এই অভ্যাসটা তাঁর ছোট থেকেই রয়েছে। এরপরেই কথার সূত্রে অভিনেত্রী বলেন, ‘তবে ছোটবেলায় যাঁকে ভাইফোঁটা দিয়েছি, তাঁর সঙ্গেও আমি হাত ধরাধরি করে ঘুরেছি। এসব ক্ষেত্রে বাঁ হাতে ভাইফোঁটা দিয়ে আমি ডান হাতে মুছে দিতাম’।
আরও পড়ুনঃ বেঁচে ফিরতেই পাল্টি! শিমুলের সাথে সংসার করার আর্জি পরাগের, আগাম পর্ব ফাঁস হতেই হতবাক দর্শকেরা
স্বামীর সঙ্গে কেমন সম্পর্ক সেকথাও জানিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী। তিনি বলেছিলেন, তাঁর স্বামীরও প্রচুর বান্ধবী রয়েছে। ভীষণ স্পোর্টিং স্বভাবের মানুষ তিনি। ইন্দ্রাণীর প্রেম ভেঙে গেলে তাঁর স্বামীই এসে চোখের জল মুছিয়ে দেন।