ময়ূরী-রূপের নোংরা প্ল্যানে একেবারে তছনছ হয়ে গিয়েছে ‘ইচ্ছে পুতুল’র (Icche Putul) মেঘের জীবন। সমাজের চোখে এখন সে ‘খারাপ মেয়ে’ হয়ে গিয়েছে। মেঘ-জিষ্ণুর সম্পর্কের দিকে আঙুল তুলছে সবাই। এবার মেয়ের এই পরিস্থিতির জন্য নীলকে দুষলো অনিন্দ্য। মেঘের সঙ্গে দেখা করতে এসে চরম অপমানিত হলো নীল।
জি বাংলার (Zee Bangla) এই ধারাবাহিকে (Bengali Serial) সম্প্রতি দেখানো হয়েছে, মেঘের মান-সম্মান নষ্ট করে দেওয়ার জন্য রূপের সঙ্গে হাত মেলায় ময়ূরী (Mayuri)। দু’জন মিলে চক্রান্ত করে মেঘকে নেশা করায়। এরপর সম্পূর্ণ জিনিসটা এমনভাবে সাজায়, যাতে দেখে মনে হয়, মেঘ এবং জিষ্ণুর মধ্যে কোনও খারাপ সম্পর্ক আছে। যদিও নীল (Neel) এবার বুঝে গিয়েছে সম্পূর্ণ বিষয়টার পিছনে রূপ এবং ময়ূরীর হাত আছে।
ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যায়, মেঘ (Megh) এবং জিষ্ণুকে নিয়ে সংবাদপত্রে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কাগজের পাতায় নিজের অসংলগ্ন ছবি দেখে ভীষণ ভেঙে পড়ে মেঘ। এদিকে আবার মেঘকে বেশ কয়েকবার ফোন করা সত্ত্বেও সে ফোন না ধরায় সোজা তার বাড়ি চলে আসে নীল।
আরও পড়ুনঃ পুরোনোরা ধুয়ে সাফ! জ্যাস-দীপাকে একহাত নিল ফুলকি, ঝটপট দেখুন তোলপাড় করা TRP তালিকা
দরজা খুলে নীল দাঁড়িয়ে আছে দেখে ভীষণ রেগে যায় অনিন্দ্য (Anindya)। নীল শ্বশুরমশাইকে বলে, মেঘের সঙ্গে দশ মিনিটের জন্য কথা বলতে এসেছে সে। তখন অনিন্দ্য মুখের ওপর বলে, তোমার এই নাটক আমি আর সহ্য করতে পারছি না নীল। কথা না বাড়িয়ে তুমি এখনই এখান থেকে চলে যাও।
এখানেই থামেনি মেঘের বাবা। অনিন্দ্য বলে, সংবাদপত্রে বেরনো প্রতিবেদন দেখে তুমি ফের একবার অপমান করতে এসেছো তো? আমি তোমায় চিনে নিয়েছি। তুমি একটা আদ্যপান্ত স্বার্থপর লোক। নিজের স্বার্থ ছাড়া তুমি আর কিছু দেখো না। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারো। সমস্ত কঠিন পরিস্থিতিতে মেঘ আজ অবধি একাই লড়াই করেছে আর জিতেছে। এরপর তুমি এসে ওর কাছে ক্ষমা চেয়েছো। তবে এতে আর কোন লাভ নেই নীল।
আরও পড়ুনঃ বাবা হওয়ার অযোগ্য, সূর্যর থেকে চিরকালের মতো মুখ ফেরালো সোনা! ফাঁস চোখ ধাঁধানো পর্ব
অনিন্দ্য এত কড়া কড়া কথা শোনালেও নীল মুখ বুজে সব কথা শোনে। এরপর বলে, এবার মেঘকে নিয়ে তার মনে কোন প্রকার সন্দেহ নেই। সে মেঘকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করছে। এসব শুনে মধুমিতা এসে নীলকে বলে, সে মেঘকে গিয়ে নীলের কথা বলবে। মেঘ যদি তার সঙ্গে দেখা করতে রাজি হয়, তাহলে সে নীলকে ফোন করে জানিয়ে দেবে।