গ্রীষ্ম, বর্ষার মরসুম শেষে চলে এসেছে শীতের (Winter) পালা। সকালে কুয়াশার আনাগোনা, আর রাতে শোওয়ার সময় চাদর নেওয়াটা বলে দিচ্ছে রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে খুব বেশি দেরি নেই। আর এমন মরসুম এলে অনেকের মন আবার ঘুরু ঘুরু (Travel) করতে শুরু করে দেয়। হালকা শীত এলেই অনেকে বাক্স প্যাটরা গুছিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। আপনিও যদি হালকা শীতে ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন তাহলে একদম সঠিক প্রতিবেদন পড়ছেন।
আজ আপনার জন্য একটি অফবিট হিল স্টেশনের (Offbeat Hill Station) খোঁজ নিয়ে এসেছি আমরা। ভ্রমণপিপাসু মানুষদের মধ্যে আস্তে আস্তে অফবিট লোকেশনের (Offbeat Location) জনপ্রিয়তা বাড়ছে। চেনা জায়গা ছেড়ে এখন অচেনা জায়গা এক্সপ্লোর করতে বেশি পছন্দ করছে মানুষজন। আজ তাই এমনই একটি মনোরম অফবিট জায়গার খোঁজ নিয়ে এসেছি আমরা। এই স্থানের নামহল বংকুলুং (Bungkulung)।
সারাটা বছর কংক্রিটের জঙ্গলের মধ্যে কাটানোর পর কয়েকটা দিন যদি একটু সবুজের সান্নিধ্য লাভ করতে চান তাহলে চলে যেতে পারেন বংকুলুংয়ে। মিরিকের (Mirik) কাছে অবস্থিত এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামে একবার গেলে চাঙ্গা হয়ে যাবে আপনার শরীর-মন। গায়েব হয়ে যাবে শরীরে জমে থাকা সকল ক্লান্তি।
ছবির মতো সুন্দর সাজানো এই গ্রাম মৎস চাষের জন্য বেশ বিখ্যাত। পাশাপাশি এখানকার প্রায় প্রত্যেকটি বাড়ির সামনে ফুল এবং অর্কিডের বাগান রয়েছে, যা সেই বাড়িগুলির সৌন্দর্য আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। বংকুলুংয়ে থাকার জন্য একাধিক ছোট ছোট কটেজ এবং হোমস্টে রয়েছে। নিজের বাজেট অনুযায়ী যে কোনও একটি বেছে নিয়ে সেখানেই থাকতে পারবেন আপনি।
আরও পড়ুনঃ এক নিমেষে গায়েব সব ক্লান্তি! রইল হালকা শীতে ঘোরার মতো একগুচ্ছ অফবিট পাহাড়ি জায়গার হদিশ
বংকুলুং দু’টি নদীর মাঝে অবস্থিত একটি গ্রাম। এখান থেকে মুরমাহ চা বাগান বেশ কাছে। ইচ্ছা হলে সেখান থেকে ঘুরে আসতে পারবেন। তবে শুরু চা বাগান নয়, এটি এমন একটি গ্রাম যেখানে আপনি ধানক্ষেতও দেখতে পাবেন। কমলা বাগান, সবুজ বনে ঘেরা এই গ্রাম প্রকৃতি প্রেমীদের ঘোরার জন্যেও একেবারে আদর্শ। এবারের শীতের ছুটিতে তাহলে ঘুরে আসবেন নাকি এই অফবিট গ্রাম থেকে?