পুজো শেষ হয়ে গেলেও উৎসবের মেজাজ থেকে এখনও বেরোতে পারেননি অনেকে। মন খারাপের রেশ কাটাতে অনেকেই ভাবছেন কাছাকাছি কোনও জায়গা থেকে ঘুরে (Travel) আসার কথা। কিন্তু সেক্ষেত্রে বাধ সাধছে বাজেট। আজকের প্রতিবেদনে তাই দু’দিনের ছুটিতে ঘোরার মতো কলকাতার (Kolkata) কাছাকাছি একটি বাজেট ফ্রেন্ডলি স্থানের হদিশ তুলে ধরা হল।
স্বল্প বাজেটে ঘুরতে যাওয়ার কথা উঠলে অনেকের মাথায় দীঘা, পুরী কিংবা দার্জিলিংয়ের কথাই আসে। তবে এই তিন জায়গা কমবেশি প্রত্যেকের ঘোরা আছে। এক জায়গায় বারবার ঘুরতে যেতে কারোরই ভালোলাগে না। সেই জন্য আজ আপনার জন্য কলকাতার কাছাকাছি একটি অফবিট ট্রাভেল ডেস্টিনেশনের (Offbeat Travel Location) খোঁজ নিয়ে এসেছি আমরা।
অক্টোবরের হালকা শীতে একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসলে মনটা বেশ তাজা হয়ে যায়। অনেকেই তাই এই সময়টাই দু-একদিনের মিনি ট্রিপে বেড়িয়ে পড়েন। আজকের প্রতিবেদনে যে স্থানের হদিশ তুলে ধরা হয়েছে তা একদিকে যেমন পকেট ফ্রেন্ডলি, তেমনই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।
আরও পড়ুনঃ হাতের নাগালে একটুকরো স্বর্গ! পকেট ফ্রেন্ডলি খরচে ‘হেভেন অফ ডুয়ার্স’ ঘোরার ট্যুর প্ল্যান
শহর কলকাতা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত এই স্থানের নাম হল ‘মিনি ডুয়ার্স’ (Mini Dooars)। ভ্রমণপিপাসু মানুষরা এই নামেই চেনেন এই স্থানটিকে। তিলোত্তমা থেকে ভীষণ কাছে অবস্থিত স্থানে একবার গেলে আপনার মনে হবে যেন ডুয়ার্সেই চলে এসেছেন। প্রকৃতির কোলে নির্জন-নিরিবিলি পরিবেশে কয়েকটা দিন কাটাতে চাইলে এখানে চলে আসতে পারেন আপনি।
আরও পড়ুনঃ ভিড়ে গাদাগাদি নয়, যতদূর চোখ যায় ফাঁকা সমুদ্র! রইল কলকাতার কাছেই এক অফবিট সি-বিচের হদিশ
কীভাবে যাবেন?
সব তো জানা গেল, এবার নিশ্চয়ই এখানে কীভাবে যাওয়া যায় সেটা জানতে ইচ্ছা করছে? তাহলে বলে রাখি, ‘মিনি ডুয়ার্স’ যেতে হলে আপনাকে প্রথমে হাওড়া স্টেশন থীক আমতা লোকাল ধরতে হবে। এরপর নামতে হবে ঝালুয়ারবেড় স্টেশনে।
এই স্টেশনে নামলেই আপনি চারিদিকে সবুজে ঘেরা অরণ্য দেখতে পাবেন। পাশাপাশি এখানে রয়েছে একটি শিবকালি মন্দির। এই মন্দিরগুলি দক্ষিণেশ্বর মন্দির, রামকৃষ্ণ বাটির আদলে তৈরি। ইচ্ছা হলে এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন। সব মিলিয়ে দু-একদিনের ট্রিপের জন্য এই স্থান যে একেবারে আদর্শ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।