এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয়তম ধারাবাহিকগুলির মধ্যে একটি হল জি বাংলার (Zee Bangla) ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul)। যত সময় যাচ্ছে এই মেগার (Bengali Serial) জনপ্রিয়তা দর্শকমহলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সিরিয়ালেই অভিনয় করে বাংলার প্রায় প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছেন অভিনেত্রী তিতিক্ষা দাস (Titiksha Das)। সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকদের কাছে তাঁর পরিচিতি অবশ্য ‘মেঘ’ নামেই বেশি। সম্প্রতি সেই তিতিক্ষাই জনপ্রিয় এক ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে আলাপচারিতায় বসেছিলেন।
‘ইচ্ছে পুতুল’এ শান্ত-নিরীহ মেঘের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে তিতিক্ষাকে। তবে প্রয়োজনে প্রতিবাদীও হয়ে উঠতে পারে সে। তবে এ তো নাহয় গেল পর্দার কথা, বাস্তবে কেমন তিতিক্ষা? সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল পর্দার সামনে। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, তিনি রিয়েল লাইফে ভীষণ রকম স্পষ্টবাদী। সেই জন্য তাঁর বন্ধুর সংখ্যা বেশ কম।
তিতিক্ষার কথায়, ‘আমার বন্ধুর সংখ্যা বেশ কম। তাছাড়া আমি সবার কাছে সো কলড ভালো মেয়ে নই। আমি অবশ্য হতেও চাই না। মেঘের মতো হতে আমি পারবো না। আমার মনে হয় বলে ফেলাটাই ভালো। প্রথমত আমি নিজে হালকা থাকতে পছন্দ করি। দ্বিতীয়ত বলে দেওয়ার পর সেই মানুষ থাকতে চাইলে থাকবে, নাহলে প্রথমেই সময় নষ্ট না করে বিদায় হবে’।
এখন বাংলা টেলিভিশনের প্রথম সারির নায়িকাদের মধ্যে একজন ইচ্ছে পুতুল অভিনেত্রী তিতিক্ষা দাস। সিরিয়ালপ্রেমী মানুষদের কাছে ভীষণ পরিচিত মুখ তিনি। তবে এত কিছুর পরেও নিজের মধ্যে কোনও তারকাসুলভ আচরণ আনতে নারাজ তিতিক্ষা। সাক্ষাৎকারে যেমন অভিনেত্রী বলেন, পাড়ার লোকেদের কাছে তিনি ‘মেঘ’ নয়, বরং তিতিক্ষা হয়েই থাকতে চান।
আরও পড়ুনঃ মেঘের ক্ষতি চেয়ে আর খেতে হবে না গালমন্দ! অভিনয় ছেড়ে পেশা বদল করছেন ‘ইচ্ছে পুতুল’র ময়ূরী
আদতে দত্তপুকুরের মেয়ে তিতিক্ষা এখন ‘ইচ্ছে পুতুল’ সিরিয়ালের দৌলতে কাঁপাচ্ছেন টেলি পর্দা। কাজের সূত্রে বাড়ি থেকে দূরে কলকাতায় থাকতে হচ্ছে তাঁকে। কতখানি মিস করেন নিজের বাড়ি? জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ‘ইচ্ছে পুতুল’ নায়িকাকে। জবাবে পর্দার মেঘ বলেন, ‘প্রচণ্ড মিস করি…। যখন ওখানে থাকতাম আমার মনে হতো কবে আমি সবসময় কাজের মধ্যে থাকবো, কলকাতায় থাকবো। কিন্তু এখন মনে হয় যেন আর ভালোলাগছে না। মাঝে মাঝে একটু ওখানে গিয়ে আসতে পারলে আমি মনে হয় এনার্জি পাই একটু’।
সাক্ষাৎকারের শেষে তিতিক্ষা বলেন, এত কষ্ট, এত পরিশ্রম সবকিছুই দর্শকদের জন্য করছেন। দর্শকদের ভালোবাসাটাই তাঁর কাছে সবচেয়ে বেশি জরুরি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘দর্শকদের ভালোবাসাটাই সব। নাহলে এত কষ্ট করার কোনও মানে হয় না। কারণ টাকা আজকে থাকবে কালকে নেই। সবটাই অডিয়েন্সদের জন্য। তোমরা ভালোবাসলেই আমি আরও বেশি খাটনির মধ্যে থাকবো। তোমরা প্লিজ ভালোবাসো আমার কোনও অসুবিধা নেই খাটনি করতে’।