আর মাত্র হাতেগোনা কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। আগামী সপ্তাহে এমন সময় দুর্গা পুজো (Durga Puja) নিয়ে মাতোয়ারা হয়ে উঠবে গোটা বাংলা। ইতিমধ্যেই পুজো নিয়ে প্ল্যানিং শুরু হয়ে গিয়েছে বাঙালির। কেউ পুজোর সময়টা প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে কাটাবেন, কেউ আবার শহর কলকাতা থেকে দূরে বাইরে কোথাও ঘুরতে (Travel) চলে যাবেন।
আপনি যদি দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে পড়েন তাহলে একদম সঠিক প্রতিবেদন পড়ছেন। কারণ আজ আমরা পুজোয় ঘুরতে যাওয়ার জন্য একটি দুর্দান্ত লোকেশনের (Offbeat Location) খোঁজ নিয়ে এসেছি। পাহাড়, জঙ্গল, নদীতে ঘেরা এই স্থান কলকাতার (Kolkata) একেবারে কাছে অবস্থিত। সেই স্থানের নাম হল মুকুটমণিপুর (Mukutmanipur)। ভ্রমণপিপাসু মানুষদের মধ্যে এই জায়গা ‘বাঁকুড়ার রানী’ (Bankura) নামেও জনপ্রিয়।
পুজোর কয়েকটা দিন আপনি যদি শহরের কোলাহল থেকে দূরে একটু নিরিবিলিতে কাটাতে চান তাহলে মুকুটমণিপুর চলে যেতেই পারেন। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই জায়গায় প্রত্যেক বছর পুজোর সময় পর্যটকরা ভিড় করেন। চারিদিকে শাল, মহুয়ায় ঘেরা সবুজ বনানী, আর ঠিক তার মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে নীল জলের কংসাবতী।
আরও পড়ুনঃ সাবেকিয়ানায় মোড়া মহালয়া-দশমী, রইল কলকাতার অফবিট বনেদি বাড়ির দূর্গা পুজোর হদিশ
মুকুটমণিপুরের এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখলে মন জুড়িয়ে যাবে যে কারোর। তবে পুজোর সময় ‘বাঁকুড়ার রানী’র রূপ যেন আরও বেড়ে যায়। তাই আগে থেকেই বলে রাখি, শরৎকালে এখানে গেলে বাড়ি ফিরতে ইচ্ছা নাও করতে পারে!
পুজোর সময় মুকুটমণিপুরে প্রচুর পর্যটক আসেন বলে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফ থেকে তোরজোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রের যাবতীয় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পর্যটকদের যাতে কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয় সেটাই সুনিশ্চিত করছেন প্রত্যেকে।
খাতরার মহকুমার শাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কাশীনাথ মিস্ত্রি সহ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা ইতিমধ্যেই ভালো করে পর্যটককেন্দ্র ঘুরে দেখতে শুরু করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গেই পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। তাহলে এই বছর পুজোয় ‘বাঁকুড়ার রানী’ মুকুটমণিপুরে ঘুরতে যাবেন নাকি?