পাহাড় নাকি সমুদ্র, ঘুরতে যাওয়ার (Travel) জন্য কোনটা বেস্ট? ভ্রমণপিপাসু মানুষদের মধ্যে এই নিয়ে সারা বছর চর্চা চলতে থাকে। ছুটি কাটানোর জন্য কারোর পছন্দ পাহাড়, কেউ আবার সমুদ্রে গিয়ে শান্তি খুঁজে পান। তবে আজকের প্রতিবেদনটি কিন্তু পাহাড়প্রেমী মানুষদের জন্যই। কারণ আজকের প্রতিবেদনে কলকাতার (Kolkata) কাছাকাছি একটি দুর্দান্ত অফবিট পাহাড়ি এলাকার (Offbeat Location) খোঁজ নিয়ে এসেছি আমরা।
আজ আমরা যে স্থানের হদিশ দিচ্ছি সেটি ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) অবস্থিত। এই জায়গার নাম হল পাহাড়ভাঙা (Pahar Bhanga)। শহর কলকাতা থেকে মাত্র ঘণ্টা চারেক যাত্রা করলেই পৌঁছে যাবেন এখানে। এখানকার অন্যতম আকর্ষণ হল গোলপাহাড়ি মন্দির। বলে রাখি, স্থানীয় মানুষরা বিশ্বাস করেন এই মন্দিরে প্রার্থনা করলে সেই আশা পূরণ হয়। আড়াইশো সিঁড়ি ভেঙে আপনি যদি গোলপাহাড়ি মন্দিরে পৌঁছতে পারেন তাহলে সেখান থেকে দেখতে পাবেন ছবির মতো সাজানো জামশেদপুর শহরকে।
গোল আকারের পাহাড় চূড়ায় অবস্থিত বলে এই মন্দিরের নাম গোলপাহাড়ি মন্দির। এখান থেকে কিছুটা গেলেই পৌঁছে যাবেন পাহাড় ভাঙা। পুজোর আশেপাশে আপনি যদি এখানে যান তাহলে সর্বত্র কাশফুল দেখতে পাবেন। শরতের নীল আকাশে মেঘের খেলা আর কাশবনের সৌন্দর্য- সব মিলিয়ে এক অপূর্ব অনুভূতি লাভ হবে আপনার।
আরও পড়ুনঃ ভিড়ে গাদাগাদি নয়, যতদূর চোখ যায় ফাঁকা সমুদ্র! রইল কলকাতার কাছেই এক অফবিট সি-বিচের হদিশ
এছাড়া এই পাহাড়ের মাঝখান দিয়েই বয়ে গিয়েছে একটি নদী। সেই সৌন্দর্য যে কতখানি মনোরম তা ভাষায় বয়ান করা বেশ কঠিন। জানিয়ে রাখি, পিকনিক স্পট হিসেবে বেশ জনপ্রিয় পাহাড়ভাঙা। বসন্তকালে এই জায়গার সৌন্দর্য কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এছাড়া এখান থেকে বেশ কাছেই অবস্থিত রণকিনি দেবীর মন্দির। ঝাড়খণ্ডের জাগ্রত কালী মন্দিরগুলির মধ্যে একটি হল এটি।
কীভাবে যাবেন?
সব তো জানা গেল, এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক এখানে কীভাবে যেতে হয়। পাহাড়ভাঙা যেতে হলে বন্দেভারত ট্রেনে করে আপনাকে টাটানগর স্টেশনে যেতে হবে। সেখান থেকে অটো কিংবা গাড়ি ভাড়া করে চলে যেতে পারেন আপনার গন্তব্যে।