অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya) মতোই জীবনটাকে জমিয়ে বাঁচতে ভালোবাসেন পর্দার কোজাগরি বসু। খুব শীঘ্রই সেই গল্পই শোনাতে আসছে স্টার জলসার (Star Jalsha) নতুন ধারাবাহিক ‘জল থৈ থৈ ভালোবাসা’ (Jol Thoi Thoi Bhalobasa)। সিরিয়ালের এই ট্যাগ লাইনের সাথেই যায় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যের প্রতি ছোট পর্দার দর্শকদের ভালোবাসা। সম্প্রতি টলি টাইম নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলের সাথে সাক্ষাৎকারে এই কথাটাই একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ অভিনেত্রী নিজেই।
অপরাজিতা আঢ্য বরাবরই ভীষণ হাসিখুশি মজার মানুষ। নিজের জীবনটাকে প্রতি মুহূর্তে চুটিয়ে উপভোগ করতে ভালোবাসেন তিনি। তাঁর চোখে মুখেই ধরা পড়ে তাঁর সেই জমিয়ে বাঁচার ছাপ। তাঁর এই মনুষ্য জীবনটা তাঁর কাছে খুবই দামি। তাই জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত তিনি জমিয়ে বাঁচতেই ভালোবাসেন। এবার তাঁর মতোই জমিয়ে বাঁচার গল্প নিয়ে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর স্টার জলসার পর্দায় আসছেন কোজাগরি বসু। এদিন অভিনেত্রীর কথাতেই জানা গেল তাঁর কাছে বয়স একটা সংখ্যা।
তাই তিনি বিশ্বাস করেন যে কোন মানুষই যে কোন বয়সে যে কোন কাজ করতে পারেন। পর্দার কোজাগরীও তাই স্বপ্ন দেখেন এই বয়সেই সাঁতার শিখে তিনি ইংলিশ চ্যানেল পার হবেন। শুধু তাই নয় পাড়ায় বাচ্চাদের যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতায় বড়রা কেউ নাম না দিলেও নাম দিতে চলে যায় কোজাগরি বসু। এখানেই বোঝা যায় জীবনটাকে তিনি মোটেই আর পাঁচজনের মতো নয় বরং সারাক্ষণ বাঁচেন হেসে খেলে, হই হুল্লোড়ের মধ্যে দিয়ে। এই ধারাবাহিকে অভিনেত্রীর বিপরীতে তাঁর স্বামী চরিত্রে দেখা যাচ্ছে জনপ্রিয় অভিনেতা চন্দন সেনকে।
আরও পড়ুন:পরান বন্দোপাধ্যায় ছাড়া অচল বাংলা সিনেমা! ‘টনিক করার পরেই টনক নড়েছে’, বলছেন অভিনেতা
তিনি যখন প্রথম সিরিয়াল করেছিলেন সেই সিরিয়ালেও তাঁর বিপরীতে ছিলেন চন্দন সেন। আবার এই সিরিয়ালেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। অভিনেত্রী মনে করেন চন্দন সেনের মত একজন অভিনেতার সাথে কাজ করা একটা অভিজ্ঞতা। পর্দার কোজাগরী বসুর সাথে অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যের অনেক মিল রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো তিনিও কোজাগরী বসুর মতোই আত্মবিশ্বাসী তার মনেও প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস।
আরও পড়ুন: দর্শকদের অপেক্ষা সার্থক, প্রকাশ্যে সূর্য-দীপার ভালোবাসার মহাপর্ব, প্রোমো না দেখলেই চরম মিস
তাই তিনি একবার যেটা ভাবেন করবেন সেটা করেই ছাড়েন। আর পর্দায় কোজাগরি যেমন তোতার সাপোর্ট সিস্টেম। তেমনি বাস্তব জীবনে অপরাজিতা আঢ্যের কোজাগরি অর্থাৎ সব থেকে বড় সাপোর্ট সিস্টেম হলেন তাঁর শাশুড়ি মা।অভিনেত্রীর কথায় তাঁর জীবনে তাঁর শাশুড়িমা কিম্বা তাঁর নিজের মায়ের অবদান এতটাই বেশি যে তাদের কথা বলতে গেলে অনেকটা বড় করে না বললে তাদেরকে সম্মান দেওয়া হয় না।
অন্যদিকে এদিন অভিনেত্রীর কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল বারণ করে কোন কাজে কি তাঁকে আটকানো যায়?এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন তিনি এমন কোন কাজই করেন না, যার জন্য তাকে বারণ করতে হয়। তবে ভালোবেসে তাঁকে কেউ কখনো কিছু বারণ করেন কিনা একথা জানতে চাওয়া হলে অভিনেত্রী বলেন,তাঁর একটা মিষ্টি বর আছে সে তাকে সারাক্ষণ বারণ করতে থাকে। যদিও সেটা যে নিখাদ ভালোবাসার জায়গা থেকে সেকথাও জানাতে ভোলেননি অভিনেত্রী।