প্রায় প্রতি মাসে টেলিভিশনের পর্দায় এখন আসছে নতুন সিরিয়াল। সদ্য তেমনই জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় শুরু হয়েছে একেবারে নতুন সিরিয়াল (New Serial) ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। তারকাখচিত মানালি দে’র (Manali Dey) এই কামব্যাক ধারাবাহিকটি শুরু থেকেই রয়েছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। আর পাঁচটা সিরিয়াল থেকে একেবারে আলাদা এই ধারাবাহিকের অন্যতম মূল আকর্ষণ ৫ জন মেয়ে। এই পাঁচ কন্যার জীবনের ব্যক্তিগত সমস্যা কিংবা মনের ভিতর জমে থাকা না বলা কথা একে অপরের সাথে ভাগ করে নেওয়ার বিষয় নিয়েই তৈরি হয়েছে এই গল্পের প্রেক্ষাপট।
প্রসঙ্গত বিয়ের পর প্রত্যেকটা মেয়েরই মনের কথা বলার মতো মানুষের বড্ড অভাব দেখা যায়। একেতো নিজের বাড়ি ছেড়ে একেবারে সম্পূর্ণ অন্যরকম একটা বাড়িতে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা,যেটা সহজ কথা নয় একেবারেই। তাই এমন এক অচেনা পরিবেশে এসে প্রত্যেকটা মেয়েরই জীবনে একজন বন্ধুর খুব প্রয়োজন হয়। এমনই এক ভিন্ন স্বাদের গল্প দেখানো হচ্ছে এই নতুন সিরিয়াল কার কাছে কি মনের কথা’তে।
ধারাবাহিকের প্লট অনুযায়ী প্রধান নায়িকা শিমুল (Shimul) কলকাতার মেয়ে। বিয়ের পর সে এসে পড়বে শ্রীরামপুরে শ্বশুরবাড়িতে। সেখানে বিধবা শাশুড়ি আর এক দেওর এবং এক ননদ পুতুলকে নিয়েই সংসার শিমুলের। তবে পুতুল মানসিকভাবে অসুস্থ। অন্যদিকে শিমুলের বড় পেশায় শিক্ষক। কাজের চাপে তারও শিমুলের মনের কথা শোনার মতো সময় নেই।
তাই শ্বশুর বাড়িতে আসার পর নিঃসঙ্গ শিমুলের জীবনে পরম বন্ধু হয়ে উঠবে তারই মত পাড়ার অন্যান্য বউরা। শ্বশুরবাড়ি এসে এই নতুন বন্ধুদের সাথেই মনের কথা ভাগ করে নেয় শিমুল। এমন ধরনের গল্প নিঃসন্দেহে বাংলা সিরিয়ালে এই প্রথম। কিন্তু এবার এই সিরিয়ালের বিরুদ্ধে এবার উঠল গল্প চুরির অভিযোগ। এক একজন দর্শক দাবি করেছেন এই সিরিয়ালটি নাকি সান বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘কন্যাদান’ থেকে হুবহু কপি করা হয়েছে।
সেইসাথে দাবি করা হয়েছে পুতুলের চরিত্রটিও নাকি স্টার জলসার ‘জলনূপুর’ সিরিয়ালের পারি পাগলী থেকে চুরি করে নেওয়া হয়েছে। এপ্রসঙ্গে বিশদে জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার কাছে কই মনের কথা আর কন্যা দানের দুটি ছবি শেয়ার করে নিয়ে ওই জনৈক নেটিজেন লিখেছেন ‘প্লিজ কেও তেড়ে আসবেন না। আমার যা মনে হয়েছে আমি তাই বলছি। কার কাছে কই মনের কথা সিরিয়ালটা ৬৫% সান বাংলার কন্যাদান এর থেকে কপি করা! যেহেতু কন্যাদান অরগানিক স্টুডিওর ছিলো তাই কপি করা স্বাভাবিক!’
সেইসাথে তার আরও সংযোজন ‘যেমন নিরার শাশুড়ীর কাছে নিরা বাদে পৃথিবীর সকল মানুষ ভালো ছিলো, ঠিক তেমন শিমুল এর শাশুড়ী ও এমন টাই হবে! নিরার শশুর বাড়িতে যেমন মা বিধবা ২ ভাই এক বোন ছিলো এখানেও সেইম। কন্যাদান এ যেমন ৫ বোনের আলাদা আলাদা একটা একটা স্টোরি ছিলো। এখানেও ঠিক তাই হবে! তবে আমি বলবো কন্যাদান এক পিস ই হয় এটা সান বাংলার মাষ্টার পিস! কন্যাদানের ইন্দ্র যেমন মা নেওটা ঠিক এখানেও সেইম! হয়তো প্রেক্ষাপট ভিন্ন কিন্ত সব দিক দিয়ে ভাবতে গেলে সিংহ ভাগ ই কপি মনে হচ্ছে! আর অন্য দিকে পারি চরিত্রটাও টুকে নিয়েছে’।