সিরিয়ালের (Serial) একঘেয়েমির মাঝে একটুঁ ভিন্ন স্বাদ নিয়ে আসে রিয়্যালিটি শোগুলি (Reality show)। বিশেষত জি বাংলায় (Zee Bangla) এমন প্রচুর রিয়্যালিটি শো হয় যেগুলি দর্শকদের প্রচণ্ড পছন্দের। ‘দিদি নম্বর ১’, ‘দাদাগিরি’র পর জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শোয়ের লিস্টে নবতম সংযোজন হল ‘ঘরে ঘরে জি বাংলা’ (Ghore Ghore Zee Bangla)। শুরু হয়েছে খুব বেশিদিন না হলেও ইতিমধ্যেই দর্শকদের মনে ঠাঁই করে নিয়েছে এই শো।
গত বছর থেকে শুরু হয়েছে ‘ঘরে ঘরে জি বাংলা’র পথচলা। সঞ্চালিকা হিসেবে প্রথমে দেখা মিলেছিল জনপ্রিয় টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদারের। প্রথমে এই শোয়ের প্রোমো দেখে অনেকেরই মনে পড়েছিল ‘রোজগেরে গিন্নি’র কথা। সেই একই রকমভাবে চ্যানেলের তরফ থেকে সাধারণ মানুষের বাড়িতে পৌঁছে যাওয়ার কনসেপ্ট। শোয়ের জনপ্রিয়তা নিয়েও অনেকে সন্দিহান ছিলেন।
কিন্তু শুরু হওয়ার পর থেকেই কামাল করে দেখাচ্ছে ‘ঘরে ঘরে জি বাংলা’। বিশেষত, ইন্দ্রাণী হালদারের পাশাপাশি সঞ্চালিকা হিসেবে অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য যোগ দেওয়ার পর থেকে শোয়ের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে।
আসলে অপরাজিতার মন মাতানো মিষ্টি হাসি এবং কথাবার্তার সারল্য প্রচণ্ড পছন্দ দর্শকদের। যারা ‘ঘরে ঘরে জি বাংলা’র নিয়মিত দর্শক তাঁরা জানেন শো’টি কোন ধাঁচের। চ্যানেলের সেটে নয়, বরং পৌঁছে যাওয়া হয় সাধারণ মানুষের বাড়িতে। সম্প্রতি যেমন কাদা মাটির এক দুনিয়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ‘ঘরে ঘরে জি বাংলা’র সঞ্চালিকা অপরাজিতা।
জি বাংলার এই শোয়ের সাম্প্রতিক পর্বে অতিথি হিসেবে দেখা মিলেছে, ফুলিয়ার ‘১০০ বছরের চড়কা বুড়ি’র। তিনি সকলের সঙ্গে নিজের জীবনকাহিনী ভাগ করে নেন। জানান, কীভাবে চড়কায় সুতো কেটে ছেলেমেয়েদের মানুষ করেছেন তিনি। ১০০ বছরের বৃদ্ধার জীবনসংগ্রামের কাহিনী শুনে কুর্নিশ জানিয়েছেন দর্শকরাও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জি বাংলার জনপ্রিয় কুকিং রিয়্যালিটি শো ‘রান্নাঘর’ শেষ হওয়ার পর শুরু হয়েছিল ‘ঘরে ঘরে জি বাংলা’। বহু বছর ধরে চলা ‘রান্নাঘর’এর স্থান এই শো নিতে পারবে কিনা সেই প্রশ্ন জেগেছিল অনেকের মনেই। কিন্তু শুরু হওয়ার কয়েকমাসের মধ্যেই ইন্দ্রাণী-অপরাজিতার শো যেভাবে দর্শকমহলে সাড়া ফেলে দিয়েছে তা সত্যিই দুর্দান্ত।