সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকদের কাছে ‘মিঠাই’ (Mithai) সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। আজ থেকে ২ বছর আগে করোনার কাঁটায় সবাই যখন একপ্রকার গৃহবন্দি হয়ে পড়েছিলেন সেসময় থেকে বাংলার প্রত্যেক সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকদের একেবারে মাতিয়ে রেখেছেন মিঠাইয়ের মোদক পরিবারের সদস্যরা। এই সিরিয়ালের নায়িকা মিঠাই অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundu) বিগত ২ বছরের বেশি সময় ধরে হয়ে উঠেছেন দর্শকদের নয়নের মনি।
তাই পর্দার মিঠাইরানির বাস্তব জীবনের সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে সমস্ত আপডেট নখদর্পনে থাকে তাঁর অনুরাগীদের। প্রিয় অভিনেত্রী সম্পর্কে কেউ কোনো বাঁকা মন্তব্য করলেই হয় সঙ্গে সঙ্গে রুখে দাঁড়ায় মিঠাই ভক্তরা। একটা সময় ছিল যখন প্রতি সপ্তাহেই টিআরপি তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল মিঠাই। কিন্তু সম্প্রতি টিআরপি তালিকায় নম্বর বেশ কমে এসেছে একসময়ের এই বেঙ্গল টপার সিরিয়ালের।
এই কারণে ইতিমধ্যেই রাত ৮-টার প্রাইম টাইম স্লট হারিয়ে সন্ধ্যা ৬টার স্লটে সম্প্রচারিত হচ্ছে মিঠাই। সেইসাথে এখন পরিবর্তন এসেছে সিরিয়ালের গল্পেও। মিঠাইয়ের মৃত্যুর পর ছেলে শাক্য বড় হওয়ার সাথে মোদক বাড়িতে হাজির হয়েছে হুবহু মিঠাইয়ের মতো দেখতে মিঠি। কিন্তু এই মিঠিই আসল মিঠাই কিনা তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই।
এরইমধ্যে দর্শকদের ভালোবাসায় দেখতে দেখতে ৭০০ পর্ব পূর্ণ করেছে এই সিরিয়াল। মিঠি সেজে,কেক কেটে সৌমিতৃষার সেই সেলিব্রেশনের ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। এমনিতে বরাবরই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত সক্রিয় থাকেন সৌমিতৃষা। মাঝেমধ্যেই নিজের ছবি থেকে রীল ভিডিও অনুরাগীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় শেয়ার করতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। যা ভাইরাল হয় নিমেষের মধ্যে।
তবে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে মিঠাই অভিনেত্রী সৌমিতৃষার একটি মন্তব্য। আসলে সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভের তরফে ফেসবুকে একটি পোস্ট করা হয়েছিল। প্রমোশন্যাল সেই পোস্টে পর্দার মিঠাইরানির শাড়ি পড়া একটি ছবি শেয়ার করা হয়েছিল।
যা একেবারেই পছন্দ হয়নি মিঠাই অভিনেত্রী সৌমিতৃষার। তাই অভিযোগের সুরে সেই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে অভিনেত্রী লিখেছেন ‘আর ছবি নেই তোমাদের কাছে? এক শাড়ি আর এক ছবি খালি। এসো রোজ একটা করে ছবি তুলতে দেখাবো মজা’। প্রকাশ্যে ‘জি কাকু’কে এমন ভাবে পাল্টা জবাব দেওয়ায় সৌমিতৃষার ফ্যানরা কিন্তু দারুন মজা পেয়েছেন। তাই কেউ লিখেছেন, ‘জি শকড, মিঠাই রকস’। আবার অন্য একজন লিখেছেন, ‘সৌমিতৃষা যা বলল, আর পরেরবার এই ছবি দেখবে না’।