জি বাংলার (Zee Bangla) ‘খেলনা বাড়ি’ (Khelna Bari) ধারাবাহিকে খলনায়ক রণর (Rano) চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অভিনেতা সায়ন্তন সরকার (Sayantan Sarkar)। ধারাবাহিকের কাহিনী বেশ কয়েক বছর এগিয়ে গিয়েছে। একদিকে যেমন বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী সিরিয়াল থেকে বিদায় নিয়েছেন, তেমনই আবার এন্ট্রিও হয়েছে অনেকের। তবে এতজনের মধ্যেই একজনের স্থান পাকা। তিনি হলেন রণ।
‘খেলনা বাড়ি’র নিয়মিত দর্শকরা জানেন, রণ হল নায়ক ইন্দ্রর সৎ ভাই। তাঁর একটাই কাজ হল ইন্দ্র-মিতুলের জীবনে ঝড় তোলা। নায়কের মতো সুদর্শন হলেও ‘খেলনা বাড়ি’তে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেই ব্যাপক সাগল্য পেয়েছেন সায়ন্তন। সম্প্রতি এক নামী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় বসেছিলেন অভিনেতা। সেখানেই নিজের ব্যক্তিগত জীবন থেকে কর্মজীবন- সব কিছু নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
সায়ন্তন জানান, সিরিয়ালের রণর সঙ্গে তাঁর কোনও মিল নেই। ধারাবাহিকে রণর মাথায় সারাক্ষণ দুষ্টুবুদ্ধি ঘোরে, কিন্তু বাস্তব জীবনে সায়ন্তন প্রচণ্ড শান্ত। অভিনেতার কোথায়, ‘বাস্তবে আমি পুরো অন্য মানুষ। তাই দুষ্টু বুদ্ধির কোনও প্রশ্নই ওঠে না…। আমার সামনে থেকে দেখে অনেকেই বলেন, ও মা তুমি আসলে এমন মানুষ! আমি শুধু হাসি’।
অনেকেই জানেন না, সায়ন্তনের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। ‘ঠিক যেন লাভ স্টোরি’ নামের একটি ধারাবাহিকে নায়কের বন্ধুর চরিত্রে এক মাস অভিনয় করেছলিলেন তিনি। এরপর হঠাৎ করেই একটি নামী বিমানসংস্থায় কেবিন ক্রু হিসেবে মোটা টাকার চাকরি পেয়ে যান তিনি। আড়াই বছর সেই চাকরি করেন সায়ন্তন। তবে তাঁর কথায়, এত মোটা টাকার চাকরি করেও তৃপ্তি পাচ্ছিলেন না তিনি। এরপর সেই চাকরি ছেড়ে ফের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ খোঁজা শুরু করেন পর্দার রণ।
এরপরই যশ দাশগুপ্ত অভিনীত ‘টোটাল দাদাগিরি’ সিনেমায় ফের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেন সায়ন্তন। এরপর তাঁর সামনে ফের খুলে যায় টেলি ইন্ডাস্ট্রির দরজা। ‘যমুনা ঢাকি’তে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এরপর ‘মোম পালক’ ধারাবাহিকে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন অভিনেতা। তবে সেই সিরিয়াল বেশিদিন চলেনি। সায়ন্তনের কথায়, ‘আমি হিট-ফ্লপে বেশি বিশ্বাস করি না। তবে এটা ঠিক, ‘মোম পালক’ খুব একটা বেশি চলেনি। তবে আমাদের জুটিটা নিয়ে বেশ চর্চা হয়েছিল। সিরিয়াল হিট হয়নি। তবে আমার অনুরাগী তৈরি হয়েছিল। সেটাই আমার পাওয়া’।
পর্দার রণকে দর্শকদের একাংশ ‘দুপুর ঠাকুরপো’, ‘বৌদিবাজ’ জাতীয় তকমা দিয়েছে। সিমির সঙ্গে বিয়ে, অনুরাধা-নকল অন্তরার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা দেখে এই তকমা তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। বাস্তবে কি সায়ন্তনের জীবনে স্পেশ্যাল কেউ আছে? সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘আমি কমিটেড। অনেকদিন ধরেই একটা সম্পর্কে রয়েছি। এর থেকে বেশিকিছু আমি এখন বলতে পারব না’।