এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত অত্যন্ত বিতর্কিত একটি ধারাবাহিক হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। একের পর এক বিতর্কিত ট্র্যাক দেখিয়ে দর্শকদের রোষের মুখে পড়েছে জি বাংলার (Zee Bangla) এই সিরিয়াল। বিয়ের পর থেকে শিমুলের ওপর যেভাবে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন হচ্ছে তা দেখে রাগে ফুঁসছেন অনেকেই। তবে আর মুখ বুজে সহ্য নয়। এবার পরাগকে ডিভোর্স দিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল শিমুল।
ধারাবাহিকের (Bengali Serial) সাম্প্রতিক পর্বে দেখানো হয়েছে, পাড়ার অনুষ্ঠানে নাচ করায় মঞ্চে উঠে শিমুলকে (Shimul) থাপ্পড় মারে তার শাশুড়ি। এরপর বাড়িতে ফিরে স্বামীর থেকে একাধিক কটু কথা শুনতে হয় তাকে। এমনকি বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় পরাগ (Parag)। রোজ রোজ একই কথা শুনতে শুনতে এবার শিমুল নিজেই বলে দেয়, সে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে।
শিমুল সবার সামনে শাশুড়ির মুখোশ খুলে দিয়ে বলে, তিনি নিজে একটা সময় অত্যাচারিত হয়েছিলেন তাই এখন শিমুলকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পান। বৌমার মুখে একথা শুনে একটা কথাও বলেনি পরাগের মা। তাদের একটাই কথা, শিমুল কেন পাড়ার অনুষ্ঠানে নাচতে গেল? গান গাইলে তাও একটা কথা ছিল। কিন্তু মিথ্যা বলে নাচতে যাওয়া কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। জবাবে শিমুলও বলে, সত্যিটা বললে তাকে কোনোদিন যেতে দেওয়া হতো না।
অপরদিকে বিপাশা আবার বলে, তারা আগামী শনিবার ঘুরতে যাচ্ছে এবং শিমুলও তাদের সঙ্গে যাবে। এতেও বেঁকে বসে পরাগ। সে বলে, তাদের বাড়ির একটা নিয়ম আছে, সেটা লঙ্ঘন করা যাবে না। শিমুল যদি সেই নিয়মগুলো না মানে তাহলে সে যেন বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। একথা শুনেই পাল্টা জবাব দেয় শিমুল। সে পরাগকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা বলে দেয়। সেই সঙ্গেই জানায়, সে আবার বাপের বাড়ি গিয়ে পড়াশোনা শুরু করবে। পাশাপাশি একটা চাকরি জোগাড় করার চেষ্টা করবে।
এরপর শাশুড়িকে সতর্কবাণী দিয়ে শিমুল বলে, এরপর পরাগের বিয়ে দিয়ে যে মেয়েকে আনা হবে তার সঙ্গে যেন মানিয়ে গুছিয়ে নেওয়া হয়। নাহলে তাকেও অপবাদ দিয়ে তাড়িয়ে দিলে আদতে বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িরই সম্মানহানি হবে। পরের দিন সকালে দেখা যায়, শিমুল নীচে নামেনি। ঘরে বসে সে ব্যাগ গোছাতে থাকে। তাহলে কি সত্যিই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যাবে শিমুল নাকি পরাগ এবং তার মা তাকে আটকে দেবে? উত্তর পাওয়া যাবে ধারাবাহিকের আগামী পর্বে।