চরিত্রহীন তকমা থেকে মুক্তি পেতে নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘ইচ্ছে পুতুল’র (Icche Putul) মেঘ। হাসপাতালে এখন জীবন-মৃত্যুর লড়াই লড়ছে সে। প্রত্যেক মুহূর্ত উৎকণ্ঠায় কাটছে দর্শকদের। এসবের মাঝেই সুযোগ বুঝে সব কিছুর জন্য নীলকে ফাঁসিয়ে দিল ময়ূরী।
জি বাংলার (Zee Bangla) এই ধারাবাহিকের (Bengali Serial) বর্তমান প্লট অনুযায়ী, ময়ূরী-রূপের ষড়যন্ত্রে মেঘ সবার চোখে ‘খারাপ মেয়ে’ হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেকে এখন তার চরিত্রের দিকে আঙুল তুলছে। রোজ রোজ এই অপমান সহ্য করতে না পেরে সে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই মুহূর্তে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সে।
বোনের এই দশা দেখে প্রথমে বেশ ঘাবড়ে যায় ময়ূরী (Mayuri)। শেষমেষ নিজের পিঠ বাঁচাতে নীলের ঘাড়ে সব দোষ চাপিয়ে দেয় সে। ময়ূরী দাবি করে, মেঘের (Megh) এই দশার জন্য কেবলমাত্র নীল দায়ী। আজকের পর্বে দেখতে পাবেন, মেঘের এই অবস্থার কথা শোনা মাত্রই হাসপাতালে ছুটে আসে নীল। কিন্তু তাকে বাধা দেয় অনিন্দ্য।
মেঘের বাবা সাফ বলে দেয়, নীল (Neel) যেন তার মেয়ের জীবন থেকে চিরকালের জন্য চলে যায়। সেই সঙ্গেই মেঘের এই অবস্থার জন্য নীলকে দায়ী করেন তিনি। পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে তাকে দূরে থাকতে বলে অনিন্দ্য (Anindya)।
নীলকে মেঘের সঙ্গে দেখা করার থেকে আটকানোর পাশাপাশি অনিন্দ্য এটাও বলে দেয়, মেঘের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে সেটার সঙ্গে তার রক্তের সম্পর্কের কেউ জড়িয়ে থাকলেও তিনি তাকে ছেড়ে দেবেন না। অনিন্দ্যর কথা অনুযায়ী, মেঘের সঙ্গে দেখা না করলেও নীল জানিয়ে দেয় সে হাসপাতাল থেকে কোত্থাও যাবে না।
অন্যদিকে আবার মেঘের খবর পাওয়ার মাত্রই হাসপাতাল যাওয়ার জন্য তৈরি হতে থাকে গাঙ্গুলী বাড়ির সদস্যরা। সেই সময় উঠে পড়ে নীলের ঠাম্মি। তবে তাকে কেউ মেঘের হাসপাতালে ভর্তি থাকার কথা জানায় না। এদিকে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেয়, মেঘ ট্রিটমেন্টে সাড়া দিচ্ছে না। দেখে মনে হচ্ছে, তার কোনও বাঁচার ইচ্ছা নেই। এবার দেখা যাক, কোন দিকে মোড় নেয় ধারাবাহিকের কাহিনী।