স্যান্ডি সাহা (Sandy Saha) নামটা আশা করি সকলেরই চেনা। সোশ্যাল মিডিয়াতে যা কিছু ট্রেন্ডিংয়ে থাকতে তাতেই দেখা মেলে স্যান্ডির। বাংলার জনপ্রিয় ইউটিউবের তথা কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসাবে বেশ পরিচিত স্যান্ডি। নেটপাড়ায় চলতে থাকা চরম বিতর্ক থেকে ভাইরাল হওয়া ট্রেন্ডে হাস্যকর সাজ সবেতেই হাজির হতে দেখা যায় তাকে। তবে আজকের স্যান্ডি হওয়ার পিছনে লুকিয়ে রয়েছে অনেক কিছুই।
সম্প্রতি ইউটিউবে নিজের ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠা ও নানা প্রতিকূলতার মাঝে নিজেকে সামনেলোর কাহিনী শেয়ার করেছেন স্যান্ডি। ইউটিউবের জনপ্রিয় একটি চ্যানেল ‘জোশ টক’। বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা নিজেদের জীবনের কাহিনী এই মঞ্চে এসে শেয়ার করেন। সাথে ভক্তরাও তাদের প্রিয় সেলিব্রিটিদের ছোটবেলা থেকে বড় হওয়া ও ফেমাস হওয়ার আগের জীবনের কাহিনী ও সংগ্রাম সম্পর্কে জানতে পারে।
এদিন স্যান্ডি জোশ টকের মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজের ছোটবেলার কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ার দিনগুলির কথা জানিয়েছেন। যেখানে চলার পথে প্রতি মুহূর্তে হেনস্থা হতে হয়েছিল তাকে। এদিন তিনি জানা,ছোট থেকেই মেয়েলি স্বভাব হওয়ার কারণে স্কুলে ও কলেজে তাকে নানা ধরণের কথা শুনতে হয়েছে। বন্ধুরা খিল্লি করত আসে পাশের লোকেরা এমনকি পরিবারের লোকেও অনেক সময় বাঁকা কথা বলতে ছাড়ত না।
একসময় বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছেছিল সবটা। বয়স যখন ১৩-১৪ সেই সময় স্কুল ছুটি হওয়ার পর ফাঁকা মাঠে নিয়েই গিয়ে শারীরিক অত্যাচার থেকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছিল। এই ঘটনায় বীভৎসভাবে ভেঙে পড়েছিলেন স্যান্ডি। অপমান ও হেনস্থা সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা পর্যন্ত করেছিলেন কিন্তু সফল হননি। এদিন তিনি নিজেই বলেন, ‘আমার এখনও নিজের ওই কাজের জন্য আফসোস হয়। তবে দুৰ্ভাগ্য বা সৌভাগ্য যাই বলুন না কেন আমি সেবারের মত বেঁচে গিয়েছিলাম’।
তবে সেদিনের সেই স্যান্ডি আজ অনেকতাই পরিণত। এখন লোকের কথা সেভাবে ধার ধারেনা সে। হাসি মজার ভিডিও থেকে শুরু করে রোস্টিং সবই চলে তাঁর ভিডিওতে। আর শুধু তাই নয় বাংলার নাইটি বৌদি হিসাবে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছি স্যান্ডি। এছাড়া কাঁচা বাদাম ডান্স, গাঙ্গুবাঈ রূপে ছবি থেকে কমলালেবু সুন্দরীর নাচ সবটাই দেখা যাবে তাঁর প্রোফাইলে। আসলে স্পষ্ট কথায় বিনোদনের জন্য যেকোন পোশাকে যে কোনো রূপে হাজির হতে তৈরী সে।