বাংলা সিরিয়ালের জগৎ একাধিক সিরিয়াল এসেছে ও শেষ হয়েছে। তবে কিছু এমন সিরিয়াল রয়েছে যেগুলো সবার থেকে আলাদা জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এমনই একটি সিরিয়াল হল মিঠাই। বিগত দেড় বছর ধরে বাংলার প্রতিটা ঘরেই সমান পছন্দের মিঠাই। কূট কাচালি আর পরকীয়া থেকে দূরে মিঠাই-সিদ্ধার্থ জুটি থেকে গোটা ফ্যামিলির সকলকেই দারুন ভালোবসে দর্শকেরা। একসময় টানা এক বছর ধরে টিআরপি তালিকায় প্রথম স্থানের অধিকারী ছিল মিঠাই। কিন্তু এবার সেই মিঠাই সিরিয়ালকেই রীতিমত রোস্ট করলেন ঝিলম গুপ্ত (Jhilam Gupta)!
ঝিলম গুপ্ত নামটা অনেকের কাছে বেশ পরিচিত, ফেসবুক বা ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। এমনকি রিয়েলিটি শো দাদাগিরি এর মঞ্চেও দেখা গিয়েছিল তাকে। তবে বাংলা সিরিয়ালের প্রতি বরাবরই বিতৃষ্ণা রয়েছে তাঁর। মাঝে মধ্যেই সিরিয়ালের বিষয়বস্তু নিয়ে ভিডিও বানিয়ে থাকেন তিনি। আর সম্প্রতি মিঠাই সিরিয়াল নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন ঝিলাম। যার জেরে খেপে লাল নেটিজেনদের অনেকেই।
এক নেটিজেন মিঠাই সম্পর্কে ঝিলামের থেকে জানতে চেয়েছিলেন। এরপর তিনি বলেন, ‘একটা ন্যাবচাক (ন্যাকা+বোকা+চালাক) মেয়ে, আর একটা অতি পেছন পাকা ছেলে। ছেলেটাকে বাড়ির লোকে সবাই সন্তুষ্ট করে রাখার চেষ্টা করে, কিন্তু কেন করে? যে বাড়ির সিনিয়ার মানুষ এখনো বর্তমান, সেখানে নাতি কি করে সব কিছুর হোতা হতে পারে?’
তাছাড়া পুলিশ অফিসার রুদ্র আইপিএস হলেও একবার ডাক দিলেই মনোহরায় এসে বসে থাকে। সেই নিয়েও খিল্লি করেছেন ইউটিউবার। তাঁর মতে, সিরিয়ালে পরিবারে কৌরবদের থেকেও বেশি সদস্য। আর সবার জীবনের লক্ষ্য একটাই বিয়ে। ভাই বোন আর একটা আইপিএস অফিসার যে কিনা মিঠাইয়ের বাড়িতেই সারাদিন ছুটে বেড়াচ্ছে। আর প্রত্যেকের মধ্যে একটা বিষয় কমন, সেটা হল সবাই চেঁচিয়ে কথা বলে।
এখানেই শেষ না, এরপর ঝিলাম বলেন, বাকি কথা ভিডিও এর জন্য তোলা থাক। অৰ্থাৎ হয়তো মিঠাই সিরিয়াল নিয়ে আস্ত একটা রোস্টিং ভিডিওই তৈরী করতে চলেছেন তিনি। আর সেই কথা নিজেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু মিঠাইকে অপমান করলে কি আর ভক্তরা ছেড়ে দেবে? বাংলার সেরা সিরিয়ালের মধ্যে অন্যতম মিঠাই। তাছাড়া মিঠাইয়ের ভক্তের সংখ্যা অগণিত, তাই তাকে নিয়ে উল্টোপাল্টা কিছু বললে যে সে এমনি এমনি পার পেয়ে যাবে সেটা তো হয় না।
এক নেটিজেন তাকে জুতো পেটা পর্যন্ত করার হুমকি দিয়ে ফেলেছেন। তবে সেই হুমকিকে সেভাবে নেননি তিনি, উল্টে তাকেও বেশ মজার উত্তর দিয়েছেন। ঝিলাম ওই নেটিজনকে উত্তরে বলেন, ‘আমার পায়ের ম্যাপ বাটার জুতোর ৪। স্নিকার হলে ভালো হয়। জুতোটা পুজো নাগাদ ছুঁড়বেন। তাহলে আমায় ঠেলাঠেলি করে ভিড়ে জুতো কিনতে হয় না আর কি’।