রবিবার প্রয়াত হয়েছেন টলিউডের (Tollywood) জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। প্রেমিকাকে হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বেশ ভেঙে পড়েছেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর এবং সব্যসাচীর (Sabyasachi Chowdhury) বেশ কিছু ছবি, ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ঘুরপাক খাচ্ছে। এরই মধ্যে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যা দেখে প্রথমে সবাই ভেবেছিলেন সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলা। কিন্তু পরে জানা যায়, সেটি আসামের এক জুটির।
সব্যসাচী যেমন ঐন্দ্রিলাকে হারিয়েছেন, তেমনই আসামের সেই যুবকও সদ্য নিজের প্রেমিকাকে হারিয়েছেন। কিন্তু মৃত্যুও তাঁদের শেষ পর্যন্ত আলাদা করতে পারেনি। প্রেমিকার প্রয়াণের পরই আসামের সেই যুবক যা করেন তা মন ছুঁয়ে গিয়েছে প্রত্যেকের।
আসামের সেই যুবকের নাম বিটুপন তামুলি (Bitupan Tamuli)। আর তাঁর প্রেমিকার নাম প্রাথনা বোরা (Prathana Bora)। বহুদিন ধরেই সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন প্রাথনা। সব্যসাচী যেমন শেষ দিন পর্যন্ত ঐন্দ্রিলার পাশে ছিলেন, তেমনই বিটুপনও প্রাথনার পাশে থেকেছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তবে প্রেমিকার মৃত্যু হলেও বিটুপন কিন্তু তাঁদের ভালোবাসাকে অপূর্ণ রাখেননি।
প্রাথনা স্বপ্ন দেখতেন বিটুপনের সঙ্গে সংসার পাতবেন। জীবিত অবস্থায় সেই স্বপ্ন পূরণ না হলেও, তাঁর মৃত্যুর পর সেই স্বপ্ন পূরণ করেন বিটুপন নিজে। প্রেমিকাকে চিরবিদায় জানানোর আগে প্রচণ্ড কাঁদছিলেন বিটুপন। এরপরই হঠাৎ করে বাইরে থেকে বিয়ের সমস্ত সামগ্রী নিয়ে আসে সে।
প্রথমে প্রাথনার মৃতদেহকে মালা পরিয়ে দেন বিটুপন। এরপর তাঁর হাতে ছুঁইয়ে নিজের গলায় একটি মালা পরে সে। মালাবদলের পর প্রেমিকাকে সিঁদুরও পরিয়ে দেন তিনি। তাঁর দুই গালেও আলতো করে সিঁদুর লাগিয়ে দেন বিটুপন। তারপর প্রেমিকার গালে চুম্বন করে বিটুপন চিৎকার বলে ওঠেন, ‘আমার বিয়ে হয়ে গেল। এই জন্মে আর কাউকে আমি বিয়ে করছি না’।
বিটুপনের এই কাজ দেখে সেখানে উপস্থিত সকলে কেঁদে ফেলেন। সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই সাত পাক ঘুরতেন প্রাথনা এবং বিটুপন। কিন্তু সেই সবন পূরণ হওয়ার আগেই জীবনে নেমে এল এত বড় একটি ধাক্কা। মৃত্যুর পর প্রাথনাকে বিটুপনের বিয়ে প্রসঙ্গে প্রাথনার ভাই শুভন বোরা বলেন, ‘প্রাথনার প্রয়াণের পর বিটুপন জানিয়েছিল ও প্রাথনাকেই বিয়ে করতে চায়। আমরা একথা শোনার পর ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। কারণ ও যা বলেছিল তা আমাদের কল্পনারও অতীত ছিল। আমি কোনোদিন ভাবিনি আমাদের বোনকে কেউ এতটা ভালোবাসতে পারে। আর সেই জন্যেই আমরা ওঁকে থামাইনি’।