নির্বাচনের দামামা বাজার আগেই বিজেপি-তে যোগদানের ধুম পড়েছে তারকামহলে। সম্প্রতি গেরুয়া শিবিরে প্রবেশ করেছেন টলি-অভিনেতা (Tollywood) যশ দাশগুপ্ত (Yash Dasgupta)। আর তারপরেই সাংবাদিকদের জিজ্ঞাস্যের মুখে পড়লেন অভিনেতা। বলিমহলের হেভিওয়েট দম্পতি অক্ষয়-টুইঙ্কলের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) এবং যশের সম্পর্ককে। রা তারপরেই সরাসরি সে বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন অভিনেতা।
টলিসূত্রে খবর, বিজেপি-তে যশের যোগদানের সময়েই নাকি গেরুয়াশিবিরের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে ট্যুইটমাধ্যমে কটাক্ষ করেন নুসরত। অন্যদিকে, রাজনৈতিক মতবিরোধের বিষয়ে কোনোরকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি নুসরতের থেকে। যদিও এ বিষয়ে যশের সাফ বক্তব্য, “একই পরিবারের সদস্যরা রাজনীতি বা অন্য কোনও প্রসঙ্গে ভিন্ন মত পোষণ করতেই পারেন!” রাজনীতি এবং হৃদয় যে সর্বদা একইপথে নাও হাঁটতে পারে, তা স্পষ্ট ‘যশরাত’-এর ঘটনা থেকেই!
গত বুধবার ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকা হাতে তুলে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় রাজনীতিতে নাম লেখান যশ দাশগুপ্ত। একই মঞ্চ থেকে যশ জানান যে ভিন্ন রাজনৈতিক দলে থাকলেও তাঁদের ‘বন্ধুত্ব’ এতে আঘাতপ্রাপ্ত হবে না। একই প্রসঙ্গে যশ তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর (Mimi Chakraborty) কথাও উল্লেখ করেন।
এরপরেই সাংবাদিকরা অক্ষয়-টুইঙ্কলের ন্যায় ভিন্ন মতাদর্শের দম্পতির সঙ্গে যশ-নুসরত-এর বন্ধুত্বের তুলনা টানলে বেশ কড়া প্রতিক্রিয়া দেন যশ। অভিনেতার স্পষ্ট জবাব, “এ ক্ষেত্রে সেটা বলা ঠিক হবে না। অক্ষয় কুমার এবং টুইঙ্কল খান্না বিবাহিত। আমি এবং নুসরত তো সেরকম কোনো সম্পর্কে নেই!”
তৃণমূল সূত্রে খবর, নুসরতের সঙ্গে একই দলে থাকতে চেয়েছিলেন যশ। যদিও তৃণমূলের কর্মপন্থায় ক্রমশ বিশ্বাস হারান তিনি। পরবর্তীতে বিজেপির হাত ধরে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্নে এগিয়েছেন যশ। এখন দেখার, এই দলবদলের জোয়ারে বন্ধুর হাত ধরে নুসরাতও মোদি-শিবিরে যোগ দেন কি না! বাংলার মানুষ তাকিয়ে সে দিকেই।