সম্প্রতি ইতি ঘটেছে দীর্ঘদিনের বিতর্কের। অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) আগেই জানিয়েছিলেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্তর (Yash Dasgupta) সঙ্গে চুটিয়ে নিজ পুত্রের অভিভাবকত্ব উপভোগ করছেন তিনি। নুসরত অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই ছায়ার মতো অভিনেত্রী পাশে পাশে ছিলেন যশ। কিন্তু ‘ঈশানের বাবা কে’ এই প্রশ্নটা প্রতিবারই কথার মারপ্যাঁচে এড়িয়ে যেতেন অভিনেত্রী।
কিন্তু কথায় বলে সত্য বেশি দিন চাপা থাকেনা। মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যমে নুসরত নিজেকে সিঙ্গেল মাদার হিসেবে দাবি করলেও ঈশানের বার্থ সার্টিফিকেটেই সামনে এলো আসল সত্যি। যেখানে সদ্যজাতর নামের জায়গায় রয়েছে ঈশান জে দাশগুপ্ত। বলাই বাহুল্য যশের পদবীও দাশগুপ্ত।
তবে অনুমানের ভিত্তিতে নয়, প্রকাশ্যে এসেছে নুসরত পুত্রের জন্মবৃত্তান্ত যেখানে ঈশানের বাবার নামের জায়গায় জ্বলজ্বল করছে দেবাশিষ দাশগুপ্ত, যা যশের পোশাকি নাম। অতএব, এতদিনের সর্বাধিক চর্চিত বিতর্কে অবশেষে ইতি পড়ল। কেবল মায়ের পরিচয় নয় ঈশান বড় হয়ে উঠবে বাবা মা উভয়ের পরিচয়েই।
স্বভাবতই এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নেটিজেনের আতসকাঁচের নীচ থেকে যেন কিছুতেই হঠছেনা যশের নাম। কিন্তু সেসবে বিশেষ কান দেওয়ার সময় নেই অভিনেতার। একেই সামনে যশের হাতে অসংখ্য ছবি, এবং এবার সামনে এল অভিনেতার মানবিক রূপ।
একটু সময় পেতেই এদিন ভবানীপুরের প্রেরণা হোমে পৌঁছে গেলেন যশ। অভিনেতা জানতে পারেন এই অনাথ আশ্রমের ৬ থেকে ১৮ বছরের অসংখ্য তরুণীরা তার ভক্ত। যশের কোনোও ছবিই দেখা বাকি নেই তাদের, এমনকি অভিনেতার ছবি খবরের কাগজ থেকে কেটে ওই আশ্রমের দেওয়ালও ভরিয়ে ফেলেছে যশ ভক্তরা।
আর এই খবর পাওয়া মাত্রেই ভক্তদের জন্য খাবার চকোলেট নিয়ে সোজা আশ্রমে পৌঁছে গেলেন স্বয়ং অভিনেতা। তাদের সাথে সারাটাদিন কাটালেন ‘নতুন বাবা’। বলাই বাহুল্য প্রিয় নায়ককে দেখে সকলে একেবারে আনন্দিত -উৎসাহিত। এর আগেও, বিভিন্ন সময় নারী ও শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন যশ, এবং এদিনও আশ্রম কর্তৃপক্ষকে যশ জানিয়েছেন তরুণীদেএ শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনে সব রকম ভাবে পাশে দাঁড়াতে রাজি অভিনেতা।