‘দর্শকই দেবতা’, বলিউডের (Bollywood) বহু সুপারস্টারকে এই কথা বলতে শোনা গিয়েছে। দর্শকদের জন্যই এত খাটনি করে এত ছবি বানান তাঁরা। একটি ছবি বানানোর পিছনে যেমন প্রচুর টাকা খরচ হয়, তেমনই প্রচুর পরিশ্রমও করতে হয়। শুধুমাত্র অভিনেতারাই নন, একটি ছবি তৈরির পিছনে থাকেন আরও অনেকে। তবে তা সত্ত্বেও, এমন প্রচুর ছবি রয়েছে যা দর্শকরা একেবারেই পছন্দ করেননি। সেই তালিকায় নাম রয়েছে সলমন খান, অমিতাভ বচ্চনের মতো অভিনেতাদের। আজ বলিউডের (Bollywood) ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য ছবির নামগুলি একটু দেখে নেওয়া যাক।
সড়ক ২ (Sadak 2)- বলিউডের ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য সিনেমা ‘সড়ক ২’। ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সড়ক’ ছবির সিক্যুয়েল এটি। ২০ বছর পর এই ছবির হাত ধরে ফের পরিচালনায় ফিরেছিলেন মহেশ ভাট। সঞ্জয় দত্ত, পূজা ভাট, আলিয়া ভাট, আদিত্য রায় কাপুর অভিনীত এই ছবিটির আইএমডিবি রেটিং মাত্র ১.১।
রেস ৩ (Race 3)- সড়ক ২’এর পর এই তালিকায় নাম রয়েছে ‘রেস ৩’ ছবির। ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সলমন খান, অনিল কাপুর, ববি দেওলের মতো অভিনেতা। মাল্টিস্টারার এই ছবিটির আইএমডিবি রেটিং মাত্র ১.২।
হিম্মতওয়ালা (Himmatwala)- অজয় দেবগণ, তামান্না অভিনীত এই ছবির নাম তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সাজিদ খান পরিচালিত এই ছবিটিও দর্শকরা একেবারে পছন্দ করেনি। ছবিটির আইএমডিবি রেটিং ১.৭।
রাধে (Radhe)- সলমন খান অভিনীত এই ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। দর্শকরা একেবারেই পছন্দ করেনি ছবিটিকে। ‘রাধে’র রেটিং মাত্র ১.৮।
বুম (Boom)- ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে ‘বিগ বি’ অমিতাভ বচ্চন, জ্যাকি শ্রফ, ক্যাটরিনা কাইফের মতো শিল্পীরা অভিনয় করেছিলেন। ছবিটির আইএমডিবি রেটিং মাত্র ২.৩।
কুলি নম্বর ওয়ান (Coolie No. 1)- সুপারহিট ছবি ‘কুলি নম্বর ওয়ান’এর রিমেকে অভিনয় করেছিলেন বরুণ ধাওয়ান এবং সারা আলি খান। ২০২০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে গল্পের গরু গাছে ওঠানো দেখেই বিরক্ত হয়েছিলেন দর্শকরা। ছবিটির আইএমডিবি রেটিং ২.৯।
টিউবলাইট (Tubelight)- ছবিটি থেকে দর্শকদের প্রচুর প্রত্যাশা থাকলেও, সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি ছবির নির্মাতারা। সলমন খান অভিনীত এই ছবির রেটিং মাত্র ৩.৯।
কলঙ্ক (Kalank)- একদিকে সঞ্জয় দত্ত-মাধুরী দীক্ষিত, অপরদিকে বরুণ ধাওয়ান-আলিয়া ভাট, বলিউডের দুই সুপারহিট জুটি ছিল এই ছবিতে। ভাবা হয়েছিল ছবিটি সুপারহিট হবে। কিন্তু তা আর হয়নি, বরং এই চার তারকার কেরিয়ারের কলঙ্ক হয়ে রয়ে গিয়েছে ছবিটি।