অনেকেরই অনেক ধরণের শখ থাকে, আর নিজের শখ পূরণের জন্য তারা যেকোনো পর্যায় পর্যন্ত যেতে পারেন তারা। যা সাধারণ মানুষের ভাবনার ও বাইরে হয়ে যায় অনেকসময়। আজ সেরকমই এক নারীর গল্প বলব আপনাদের। তার নাম জালাটা ওরফে জুলিয়া গুনথেল। বিশ্বের সবথেকে ফ্লেক্সিবল বা নমনীয় নারী মনে করা হয় তাকেই।
তার শরীর যেন রাবারের। নিজেকে যেমন ইচ্ছা ভাঁজ করে নিতে পারেন তিনি। প্রয়োজনে নিজেকে ভাঁজ করে একটি ব্যাগের মধ্যেও ঢুকিয়ে নিতে পারেন তিনি। কনটর্শনিস্ট অথবা বিভঙ্গ বিনোদন হিসেবেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন জালাটা। তার এই রেকর্ড আজ অবধি কেউ ভেঙে দেখাতে পারেনি।
জালাটার জন্ম কাজাকাস্তানে । কিন্তু তার বেড়ে ওঠা থেকে কেরিয়ার সমস্তটাই জার্মানিতে কেটেছে। তার বয়স এখন ৩১ বছর। মাত্র ৪ বছর বয়সেই তার শরীরের বিস্ময়কর নমনীয়তা আবিষ্কার করেন স্কুলের শিক্ষিকা। এরপর ৮ বছর বয়সেই সার্কাসে যোগ দেন তিনি, ১০ বছর বয়স থেকে পেশাদার কনটর্শনিস্ট হয়ে ওঠেন জালাটা। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত বিভঙ্গ বিনোদনই তার পেশা।
তার শরীরের এই ফ্লেক্সিবিলিটি এবং নমনীয়তা দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছে গোটা বিশ্বই। তার শরীরের নমনীয়তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ডিসকভারি টিভি সিরিজও। তার শরীর পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন জালাটার শরীরের লিগামেন্ট শিশুদের শরীরের মতোই নমনীয়।
পারফর্মিং আর্ট, মডেলিং, অভিনয়, ম্যাগাজিন শুট করেন জালাটা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে স্টেজ শোও করেন নমনীয় এই নারী। এর মধ্যেই বহু গিনিজ বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। সবথেকে কম সময়ে নিজের শরীরের বিভঙ্গের চাপে ৩টি বেলুন ফাটিয়ে বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করেন জলাটা। লুকের দিক থেকেও অসম্ভব সুন্দরী এই বিস্ময়কর নারী।