লম্বা ঘন চুল চায়না এমন মহিলা এপৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া দুস্কর ব্যাপার। চুল লম্বা করার জন্য নানা ধরণের তেল থেকে শুরু করে ঔষুধ ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু জানেন কি ভারতবর্ষেই ছিল পৃথিবীর সবচাইতে বড় চুলের কিশোরী (World’s Longest Teenage Hair)। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। পৃথিবীর সবচাইতে বড় চুল, গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে (Guinness Book of World Records) নাম রয়েছে তার। কিশোরীর নাম হল নীলাংশী প্যাটেল (Nilangshi Patel)। গুজরাটের মোদাসার বাসিন্দা নিলাংশী।
যেমনটা জানা যায় দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ধীরে ধীরে নিজের চুলকে এতটা বড় করেছিলেন ওই কিশোরী। বর্তমানে ১৮ বছর বয়স ওই কিশোরীর। আর তার ১৮ বছরের জন্মদিনের আগে চুলের মাপ নেওয়া হয়েছিল। শেষনেওয়া মাপে ২০০ সেন্টিমিটারেরও বেশি লম্বা ছিল তার চুল। এবার সেই চুল কেটে ফেললেন নিলাংশী, আর কিশোরী অবস্থায় পৃথিবীর সবচাইতে লম্বা চুল কাটার ভিডিওটি বেশ ভাইরাল হয়ে পড়েছে গোটা পৃথিবী জুড়ে।
ছয় বছর বয়স যখন নীলাংশীর তখন সেলুনে চুল কাটতে গিয়ে নাকি খুব খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল তার। সেই থেকেই চুল লম্বা করতে শুরু করেছিলেন নীলাংশী। অর্থাৎ ১২ বছর ধরে চুল বড় করছেন তিনি। আর এতো লম্বা চুল থাকার জন্য নীলাংশীকে অনেকেই গুজরাটের ‘র্যাপানজিল’ বলেও ডাকতেন। র্যাপানজিল হল রূপকথার গল্পের এক রাজকুমারী যার বিশাল লম্বা চুল ছিল। এরই মধ্যে মোট ৩টি খেতাব অর্জন করেছেন নীলাংশী তার লম্বা চুলের জন্য।
আঠারো বছর বয়স হলে সে তার চুল কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। আর তার চুল কাটার পুরো ঘটনাটা ভিডিও করে শেয়ার করা হয়েছে জিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এর অফিসিয়াল ইউটিউবে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নিজের লম্বা চুল কেটে ফেলে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছে নীলাংশী।
লম্বা এই চুলটি কাটার পর কি করবেন এই নিয়ে মোট তিনটি অপশন দেওয়া হয়েছিল নীলাংশী ও তার মা কামিনী বেনকে। চুলটিকে নিলাম করা যেতে পারে, বা ক্যান্সার রোগীদের জন্য দান করা যেতে পারে। এছাড়াও আমেরিকার একটি মিউজিয়ামে দান করতে পারেন। প্রথমে ক্যান্সার রোগীদের জন্য দান করার সিদ্ধান্ত নিলেও পরে চুলটি মিউজিয়ামে দান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে নীলাংশীর মা নিজের চুল ক্যান্সার রোগীদের জন্য দেন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।