সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) দৌলতে চারিপাশের কতকিছুই আমাদের সামনে আসে। প্রতিদিন হাজারো ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়ে নেটপাড়ায় যার মধ্যে কখনো হাসির ভিডিও থাকে তো কখনো আবার এমন কিছু দৃশ্য দেখা যায় যেটা আমাদের চিন্তায় ফেলে দেয়। সমাজের বর্তমান অবস্থা থেকে শুরু করে মানুষের সাথে হওয়া অবিচারের অনেক কান্ড এই ভাইরাল ভিডিওর মাধ্যমে আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়।
একসময় মানুষ অত্যাচার বা অবিচার হলেও লোকসমাজে জানাতে সংকোচ বোধ করত। সেখানে ইন্টারনেট আসায় মোবাইলের মাধ্যমে রেকর্ড করে শেয়ার করে প্রতিবাদ জানানো থেকে সমাজের নানা ঘটনা তুলে ধরাটা অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি একটি মহিলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যিনি ভাগ্যের ফেরে আজ একজন ভিক্ষুকে পরিণত হয়েছেন।
না! কোনো সাধারণ ভিক্ষুক নন তিনি। একসময় সুস্থ স্বাভাবিক ছিলেন তিনি, যথেষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতাও রয়েছে তাঁর। যেমনটা জানা যাচ্ছে মহিলা আসলে দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা। ভিক্ষুক হলেও দিব্যি ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন তিনি, এটাই লোকের আরও বেশি করে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এরপর খোঁজ নিয়ে জানা যায় স্বাতী নামের ওই মহিলা বেনারসের হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন।
কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক তিনি, তাই ইংরেজিতে কথা বলা থেকে ইংরেজি টাইপিং সবই পারেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, একজন শিক্ষিত দক্ষিণ ভারতীয় মহিলার আজ এমন অবস্থা কি করে হল! আর তিনি বারাণসীতেই বা এলেন কি করে? এর উত্তরে যা জানাগেল সেটা সত্যিই দুঃখজনক। মহিলা স্নাতক হবার পর বিয়ে করেন, একটি সন্তানও হয়। কিন্তু সন্তানের জন্ম দেবার পর পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন তিনি, যে কারণে পরিবারের লোকের অত্যাচার শুরু হয়।
একসময় অত্যাচার সহ্য না করতে পেরেই বাড়ি ছাড়েন তিনি। শেষে এদিক ওদিক ঘুরে ঠাঁই হয়েছে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর ঘটে। সেখানে পর্যটক থেকে স্থানীয় লোকেরা যা কিছু খেতে পড়তে দেয় তাই দিয়েই কোনোমতে জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি মহিলার একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। যা বেশ ভাইরাল হয়ে পড়েছে। যেখানে মহিলা নিজেই নিজের দুঃখের কাহিনী শুনিয়েছেন।