গত বুধবার প্রয়াত হয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ী (Bappi Lahiri)। একাধারে যেমন সুরকার ছিলেন তেমনি দুর্দান্ত গানের গলা ছিল বাপ্পি লাহিড়ির। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদন জগতে। তার গান আজও সকলের মুখে মুখে লেগে থাকে। ভারতে প্রথম ডিস্কো সংগীত নিয়ে এসেছিলেন তিনিই। তাঁর ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ গানের যে জন্যই কেরিয়ার তৈরী হয়ে গিয়েছিল সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty)। কিন্তু ডিস্কো কিং বাপ্পি লাহিড়ির অন্তিম যাত্রায় সামিল হননি মিঠুন।
বুধবার মুম্বাইয়ের হাসপাতালেই প্রয়াত হন বাপ্পি দা। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে বিদেশ থেকে ফেরে ছেলে। এরপর বৃহস্পতিবারেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন একাধিক বলি তারকার। কাজল, তনুজা থেকে শুরু করে একাধিক তারকা গিয়েছিলেন, কিন্তু মিঠুন চক্রবর্তী যাননি।
বাপ্পি লাহিড়ির গানের দৌলতে ভারত ছাড়িয়ে বিদেশে পৌঁছেছিল মিঠুন চক্রবর্তীর নাম। সেখানে তিনি প্রয়াত হওয়ার পর না সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু বলেছেন, না অন্তিম যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা। তাই স্বাভাবিকভাবেই নেটমহলে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে এবার নীরবতা ভেঙে মুখ খুলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী।
View this post on Instagram
বাপ্পিদার প্রয়াণের তিন দিনের মাথায় এক সাক্ষাৎকারে আবেগঘন হয়ে পড়েছেন অভিনেতা। ছলছল চোখে তিনি জানান, ‘বাপ্পিদা আমার নাচ বুঝতেন। খুব খোলা মনের মানুষ ছিলেন বাপ্পি দা। এতো বড়মাপের একজন শিল্পী হলেও তাঁর মধ্যে কোন অহংকারবোধ ছিল না। আমি কোনো গান শুনে বাপ্পিকে ওই ধরণের গান তৈরী করার জন্য বললে সেটা মন দিয়ে শুনতেন। যেটা অন্য কোনো সংগীত পরিচালককে বলার সাহস হত না’।
এক কথায় মিঠুন চক্রবর্তীর কেরিয়ারের পিছনে বড় অবদান রয়েছে বাপ্পি লাহিড়ির। তাহলে কেন এমন একজন মানুষের অন্তিম যাত্রায় গেলেন না অভিনেতা। সম্প্রতি এর উত্তর মিলেছে। বাপ্পিদার শেষকৃত্যের দিনে মুম্বাইতে নয় বরং ব্যাঙ্গালোরে ছিলেন তিনি। তাছাড়া প্রিয় মানুষটিকে এভাবে দেখতেও চাননি তিনি। এর আগে করোনাকালে নিনের বাবার শেষ যাত্রাতেও যাননি অভিনেতা। কারণ হাসিমুখটা স্মৃতিতে রাখতে চেয়েছিলেন। তাই বাপ্পি লাহিড়ির ক্ষেত্রেও একই কাজ করেছেন।