‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ সলমনের (Salman khan) জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ছবি। এই ছবিতে সলমনের ‘প্রেম’ চরিত্রটি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। ছবিতে সলমনের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন ভাগ্যশ্রী ( Bhagyasree )। নব্বইয়ের দশকে এই ছবি কার্যত ঝড় তুলেছিল। ছবিতে এমন ফুটফুটে মিষ্টি নায়িকাকেও বেজায় মনে ধরেছিল সকলের। জানিয়ে রাখি এটিই ছিল তার ডেবিউ ছবি।
তার পুরো নাম ভাগ্যশ্রী পট্টবর্ধন (Bhagyashree Patwardhan)। প্রথম ছবির জেরেই ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ও পেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু হঠাৎই অভিনয় জগত থেকে সরে যান তিনি। এই মুহুর্তে তার বয়স ৫৩ বছর। মারাঠী রাজপরিবারের কন্যা তিনি। তার বাবা ছিলেন মহারাষ্ট্রের সাংলীর রাজা।
একটা গরীব পরিবারের মেয়ের যেমন ইন্ডাস্ট্রিতে আসাটা একটা লড়াইয়ের মতো, রাজপরিবারের কন্যা ভাগ্যশ্রীর জন্যও অভিনয় জগতে আসা অতটা সহজ ছিল না। যাইহোক ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবিতে দুর্দান্ত সাফল্যের পাওয়ার পরেই অভিনেত্রী কিছু দক্ষিণী ছবিতেও চুটিয়ে কাজ করছিলেন৷ কিন্তু এত প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও কিছুতেই ভাগ্যশ্রীর কপাল সাথ দিলনা।
হঠাৎই অভিনয় জগত থেকে সরে যেতে হল তাকে৷ অন্য কোনোও কারণ নয় শারীরিক অসুস্থতার কারণেই ভাগ্যশ্রী শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন, বিছানা থেকে উঠে পর্যন্ত দাঁড়াতে পারতেন না তিনি। আর কেরিয়ারের মধ্যগগনে এসে এযে বিরাট বড় বাধা তা বলাই বাহুল্য।
এরপর তার বিয়ে হয়ে যায় হিমালয় দাসানির সঙ্গে। আর বিয়ের আর ৫ জনের মতোই ঘর সংসারেই জড়িয়ে পড়েন তিনি। একটি পুত্র এবং কন্যা সন্তানের জন্মও দেন। এরপর ধারাবাহিকে টুকটাক চরিত্রে অভিনয় করে ইন্ডাস্ট্রিতে ফেরার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। স্টারডম আর ফিরে আসেনি তার। সেই সময় অসুস্থতা বাধা হয়ে না দাঁড়ালে হয়ত আজ বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যেই থাকতেন তিনি।