বিশ্বের অন্যতম পুরনো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিগুলির মধ্যে একটি হল ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি (Indian Film Industry)। প্রত্যেক বছর হাজার হাজার সিনেমা তৈরি হয় এখানে। কিছু সিনেমা নামমাত্র খরচে তৈরি হয়, কিছুর বাজেট শুনলে আবার মূর্ছা যাওয়ার জোগাড় হয়! কিছু ছবি চিরকাল মনে রাখার মতো হয়, কিছু আবার দেখার পরে আফসোস হয়। তবে এত সিনেমার মধ্যে ভারতীয় চলচ্চিত্রের (Indian Cinema) ইতিহাসের সবচেয়ে দামি (Most Expensive Indian Movie) ছবি কোনটি জানেন?
গত ১০ বছরে ভারতীয় সিনেমা ব্যাপক উন্নতি করেছে। এখন একাধিক বিগ বাজেট সিনেমা তৈরি হয় এদেশে। এই ছবিগুলি তৈরি করতে মোটা টাকা খরচ করেন নির্মাতারা। তবে এই কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করে তৈরি ছবি দর্শকদের ভালো না লাগলেই সমস্যার সূত্রপাত হয়। ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েন নির্মাতারা।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া মোটা টাকা বাজেটের ‘আদিপুরুষ’ (Adipurush) যেমন দর্শকদের একাংশের একেবারেই ভালোলাগেনি। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসের অন্যতম দামি এই ছবি হয়ে উঠেছে মিম মেটিরিয়াল। তবে এই ছবিটি ঘিরে দর্শকমহলে একটি ভুয়ো খবরও রটেছে। অনেকেই দাবি করছেন, এটি ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি। তবে এমনটা মোটেই নয়।
প্রভাস, সইফ আলি খান অভিনীত ‘আদিপুরুষ’র বাজেট ছিল ৫০০ কোটি টাকা। একই বাজেটে তৈরি হয়েছিল রজনীকান্ত-অক্ষয় কুমারের ‘২.০’ (2.0)। এছাড়া রণবীর কাপুর-আলিয়া ভাটের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ (Brahmastra) বানাতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৪১০ কোটি টাকা। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বাজেটের সিনেমার লিস্টে এই ছবিগুলি থাকবে একথা ঠিক, তবে সবচেয়ে দামি এগুলি নয়।
কেউ কেউ আবার ভাবেন, ‘বাহুবলী’ (Baahubali) এদেশের সবচেয়ে দামি সিনেমা। তবে সেই তথ্যও সঠিক নয়। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন, তাহলে ভারতের সবচেয়ে বেশি বাজেটের ছবি কোনটি? তাহলে বলে রাখি, এদেশের সবচেয়ে দামি ছবির নাম হল ‘প্রোজেক্ট কে’ (Project K)। নাগ অশ্বিন পরিচালিত এই সিনেমা প্রায় ৬০০ কোটি টাকার বাজেটে তৈরি হচ্ছে।
শোনা যাচ্ছে, মেগা বাজেট এই সিনেমার জন্য প্রভাস একাই নিচ্ছেন ১৫০ কোটি টাকা। এছাড়া দীপিকা পাড়ুকোন এবং কমল হাসান নিচ্ছেন যথাক্রমে ২০ কোটি এবং ১০ কোটি। অমিতাভ বচ্চন এবং দিশা পাটানির মিলিত পারিশ্রমিক প্রায় ২০ কোটি। সব মিলিয়ে শুধুমাত্র তারকাদের পারিশ্রমিকের পিছনেই খরচ হচ্ছে ২০০ কোটি টাকা। অপরদিকে ছবি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪০০ কোটি টাকা।