বাংলাদেশের শিল্পীদের (Bangladeshi actor) টলিউডে (Tollywood) কাজ করার বিষয়টা একেবারেই নতুন নয়। এখনও ওপার বাংলার বহু শিল্পী টলিউডে কাজ করেন। অতীতেও হয়েছে। এমনই একজন শিল্পী হলেন নামী অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদ (Ferdous Ahmed)। বাংলাদেশের মতোই কলকাতাতেও তাঁর যথেষ্ট নামডাক রয়েছে। একসময় চুটিয়ে কাজ করেছেন টলিউডের একাধিক ছবিতে। কিন্তু এখন আর তাঁকে দেখাই যায় না। কোথায় হারিয়ে গেলেন অভিনেতা?
টলিউডে একসময়কার অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেতা ছিলেন ফিরদৌস। কাজ করেছেন রচনা ব্যানার্জি, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়দের মতো নায়িকাদের সঙ্গে। স্ক্রিন শেয়ার করেছেন ভিক্টর ব্যানার্জি, রঞ্জিৎ মল্লিক, অনামিকা সাহা, লাবনী সরকারের মতো শিল্পীদের সঙ্গে। কিন্তু গত দু’দশক ধরে কেন সেভাবে দেখা যায় না ফিরদৌসকে? সম্প্রতি ওপার বাংলার এক নামী সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন অভিনেতা নিজে।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘সমকাল’কে এক সাক্ষাৎকারে ফিরদৌস বলেন, গত ২০ বছর ধরে টলিউড থেকে কাজের প্রস্তাব পাচ্ছেন তিনি। কিন্তু সময়ের অভাবে তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারছেন না। আর সেই কারণেই ইচ্ছা থাকলেও টলিউডের ছবিতে অভিনয় করতে পারছেন না।
ফিরদৌস বলেন, ‘গত কুড়ি বছর ধরে কলকাতার ছবিতে কাজের প্রস্তাব পাচ্ছি। দেশেই (বাংলাদেশ) অনেক ছবি করছি। কলকাতার ছবিতে কাজের সময় নেই। তবে ওখানকার কয়েকজন ছবির নির্মাতা আমায় ছবির প্রস্তাব দিয়েছেন। কাহিনী এবং চরিত্র নিয়ে কথা হচ্ছে’।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রকাশ্যে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচার করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বাংলাদেশি সুপারস্টার। তাঁর ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। ভারতে প্রবেশও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সেই জন্য প্রায় আড়াই বছর এদেশে আসতে পারেননি ফিরদৌস। তবে গত বছর নভেম্বর মাসে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। এখন আবার আগের মতো এদেশে আসতে পারবেন তিনি। চলতি বছর জানুয়ারি মাসেই ৪ দিনেরজন্য কলকাতা থেকে ঘুরে গিয়েছেন অভিনেতা।
তবে বাংলাদেশি এই সুপারস্টার অনুরাগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য ইতিমধ্যেই ভেরিফায়েড ফ্যান পেগ খুলেছেন। সেই সম্পর্কে সাক্ষাৎকারে ফিরদৌস বলেন, ‘নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব একটা সক্রিয় নাও থাকতে পারি। তবে আমার অনুরাগীদের জানার অধিকার আছে আমি কোথায় আছি, কী করছি। সেই ভাবনা থেকেই এই পেজ খোলা’।