টলিপাড়ার প্রথম সারির নায়িকাদের মধ্যেই নাম থাকবে শুভশ্রী গাঙ্গুলীর (Subhashree Ganguly)। তাঁর অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ দর্শকরা। কাজ করেছেন একাধিক সুপারহিট সিনেমায়। জয় করেছেন দর্শকদের মন। তবে টলি সুন্দরী শুভশ্রী এখন শুধু নায়িকাই নন, একজন দারুণ স্ত্রী এবং মা’ও। সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে চক্রবর্তী পরিবারের সুখী গৃহকোণের সাক্ষী থাকেন নেটিজেনরাও।
তবে কয়েক বছর আগেও কিন্তু শুভশ্রীর জীবন এত মসৃণ ছিল না। বরং একটা বড় ঝড় নায়িকার সম্পূর্ণ জীবনটাই যেন এলোমেলো করে দিয়েছিল। কেরিয়ারের শুরুর দিকেই প্রেমে পড়েছিলেন নায়িকা। তাঁর প্রেমিকের নামটা কারোরই অজানা নয়। সুপারস্টার দেবের (Dev) সঙ্গে শুভশ্রীর রিলেশনশিপ ছিল টলিপাড়ার ওপেন সিক্রেট। তবে ব্রেকআপের পর সর্বসমক্ষে চলে এসেছিল সেই কথা।
দেব এবং শুভশ্রীর মজবুত সম্পর্ক কেন ভেঙেছিল সেকথা এখনও কেউ জানেন না। তবে কয়েক বছর আগে দেবশঙ্কর হালদার সঞ্চালিত এক শোয়ে এসে এই দেবের নাম না নিয়েই কেরিয়ারের শুরুর দিকের প্রেমে ধাক্কা খাওয়া নিয়ে মুখ খুলেছিলেন পর্দার ‘পরিণীতা’।
মা-বাবার সঙ্গে সেই শোয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। শুভশ্রী বলেন, ‘আমার জীবনে এমন একটা সময়ও এসেছিল যখন কাজের ওপর আমার ফোকাস একেবারেই ছিল না। আর সেটা আমারই সিদ্ধান্ত ছিল। ‘পরাণ যায়’এর পর আমি কাজটা ছেড়েই দিয়েছিলাম… তবে যার জন্য সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলাম, সেটাই যখন থাকল না তখন বুঝেছিলাম এই জীবনটা খুব অনিশ্চিত। তবে আমার কোনও আফসোস নেই যে কেন ৪ বছর নষ্ট করেছি!’
শুভশ্রী জানান, তিনি নিজের জীবনের সেই কষ্টের বিষয়ে মা-বাবাকেও পর্যন্ত জানাননি। কারণ তাঁদের সঙ্গে তিনি শুধুমাত্র নিজের খুশিটাই ভাগ করে নিতে চান। অভিনেত্রী বলেন, মা-বাবার সঙ্গে বসে গল্প করতে করতেও ৫ মিনিট অন্তর বাথরুমে গিয়ে কেঁদে আসতেন তিনি। নিজের চোখের জন্য মা-বাবার থেকে লুকোনোর জন্যই এই কাজ করতেন টলি সুন্দরী।
সবশেষে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সেই সময়টাই একেবারে শুন্য হয়ে গিয়েছিলাম। আমি ওই মানুষটিকে বলেছিলাম, দেখো আমার জীবনে কিন্তু কোনও নিরাপত্তাহীনতা নেই। কারণ আমার হারানোরই কিছু নেই। আসলে আমার কিছুই নেই। আর ঈশ্বরের আশীর্বাদে এরপরই আমার কেরিয়ার নতুন মোড় নেয়’। শুভশ্রী নিজের বক্তব্যে কিন্তু একবারও দেবের নাম নেননি। কিন্তু দর্শকদের একথা বুঝতে একটুও সমস্যা হয়নি তিনি কার কথা বলছেন।